
ধলাই ডেস্ক: খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন আজ। বিশ্ববাসীর শান্তি প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সারাদেশে শুরু হয়েছে বড়দিনের এ উৎসব। বুধবার ভোর থেকেই রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি গির্জায় ক্রিসমাস বা বড়দিনের প্রার্থনায় উচ্চারিত হয়েছে শান্তি ও ভালোবাসার বাণী।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় গির্জায় গির্জায় শুরু হয় ক্রিসমাসের আনুষ্ঠানিকতা। প্রার্থনার সময় শান্তি আর ভালোবাসা প্রতিটি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান গির্জার পাল পুরোহিতরা। এর আগে শিশুদের যিশুখ্রিষ্টের বিভিন্ন প্রতিকৃতি ধারণ করে মা মেরির সাজে গির্জায় প্রবেশ করতে দেখা যায়।
বড়দিন উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল (মঙ্গলবার) পৃথক বাণীতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
উৎসব পালনের জন্য গির্জাগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে ৭ দিনব্যাপী সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা আগেই শেষ করা হয়। গির্জাগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। প্রথম প্রার্থনা রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হলেও আজ ও আগামীকাল মিলিয়ে রয়েছে আরো ৩টি প্রার্থনা।
রাজধানীর ফার্মগেটের হলি রোজারি চার্চের ফাদার সুব্রত অগাস্টিন বলেন, মহান যীশু মানবের মুক্তির জন্য এসেছিলেন। বড়দিনে তার সেই বাণী উচ্চারিত হচ্ছে প্রতিটি চার্চে। স্মরণ করা হচ্ছে মানুষের জন্য করা তার মহান ত্যাগের বাণী। এ সময় ভালোবাসায় ও বিশ্বাসে যীশুর অনুসারীরা একে অন্যকে আলিঙ্গন করেন।
কাকরাইল চার্চে ২৫ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় এবং ৯টায় দুটি বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
মগবাজার এজি চার্চে ২৫ ডিসেম্বর ইংরেজিতে প্রার্থনা শুরু হয় সকাল সাড়ে ৯টায় এবং বাংলায় শুরু হয় সকাল ১১টায়। প্রার্থনা শেষে পবিত্র বাইবেল থেকে আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন গির্জায় স্থানীয় সময় অনুযায়ী প্রার্থনা চলছে।
উল্লেখ্য, যিশুখ্রিষ্টের জন্মকে কেন্দ্র করে সারাবিশ্বে এ উৎসব পালিত হয়ে থাকে। ঠিক এই দিনেই যিশুর জন্ম হয়েছিল কিনা তা নিয়ে মতপার্থক্য আছে। তবে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, ডিসেম্বরের কোনো একদিন তিনি (যিশুখ্রিষ্ট) জন্মগ্রহণ করেন। ২৫ ডিসেম্বরকে যিশুর সম্ভাব্য জন্ম তারিখ ধরে এ উৎসব পালন করা হয়।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন হিসেবে পালিত হলেও রাশিয়া, জর্জিয়া, মিসর, আর্মেনিয়া, ইউক্রেন ও সার্বিয়ার মতো কয়েকটি ওয়েস্টার্ন ন্যাশনাল চার্চ ৭ জানুয়ারি বড়দিন পালন করে থাকে।