ধলাই ডেস্ক: মহামারি করোনার মধ্যে সকল বিধিনিষেধ মেনেই বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়ের পিঁড়িতে বসে আছে বর-কনে। কিন্তু এমন মুহূর্তে যদি বরকে উঠে আসতে হয় তাহলে কি মন ভালো থাকে! আবার কনে মতামত পরিবর্তন করে বিয়েতে অসম্মতি জানায়। শেষ পর্যন্ত বিয়ের পিঁড়ি ছেড়ে থানায় দৌড়াতে হয় বরকে। এ ঘটনার শিকার বরের বাড়ি ভারতের উত্তরপ্রদেশের জামালপুর গ্রামে।
অর্চনা ও শিবমের বিয়ের চূড়ান্ত কথা অনেক দিন আগেই হয়। শিক্ষিত, চাকরিরত ছেলেকে পাত্র হিসেবে পছন্দ হয় অর্চনার বাবা-মা’র। বিয়ের দিন সকল অনুষ্ঠান শেষ হয়। বিয়ের আসরও তৈরি। বর যাত্রী এসে যায়। কনেও প্রস্তুত। তবে শেষ মুহূর্তে কনে বিয়ে ভাঙেন। না, এজন্য অন্য কোনো প্রেম দায়ী নয়।
জানা যায়, বিয়ের দিন প্রথম থেকেই একটা মোটা পাওয়ার চশমা পরে থাকেন বর। একবারের জন্যও চশমা খোলেননি। এতে সন্দেহ হয় কনের। তাহলে কি বরের চোখে সমস্যা, সে কি চোখে কম দেখে? সন্দেহ থেকে একটি পত্রিকা এনে বরকে পড়তে দিয়ে তার চশমা নিয়ে নেন। বর জানান তিনি চশমা ছাড়া কিছুই দেখেন না। তবে বিয়ের ব্যাপারে কথা চলার সময় তিনি লেন্স পরে এসেছিলেন। আর এ কারণে বিয়েতে অসম্মতি জানায় কনে।
মেয়ে চশমা পরা ছেলেকে বিয়ে করবেন না বলে বিয়ে ভেঙে যায়। বরের মন ভেঙে যায়। কিন্তু কনের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ জানানো হয় যে, বর বিয়ের শুরুতে তার চোখে না দেখার কথা লুকিয়ে রেখেছিলেন। আর এই প্রতারণার জন্যই থানায় দৌড়াতে হয় বরকে।
সূত্র: নিউজ এইটটিন