ধলাই ডেস্ক: টাঙ্গাইলের বাসাইলে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে গ্রেফতার শাহিনুর রহমানকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলার কাশীল ইউপির স্থলবল্লা গ্রামের শাহিনুর তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তারকে বর্শা দিয়ে হত্যা করার পর স্বপরিবারে আত্মগোপনে চলে যায়। রোববার সকাল ৬টা দিকে বাসাইল বাজার থেকে শাহিনুরকে গ্রেফতার করা হয়।
বাসাইল থানার ওসি এসএম তুহিন আলী জানান, সকালে স্বামীকে গ্রেফতার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।
১৬ বছর আগে বাসাইল পৌরসভার ব্রাক্ষণপাড়িল এলাকার মোন্নান মিয়ার বড় মেয়ে স্বপ্না আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার কাশীল ইউপির স্থলবল্লা গ্রামের সামাদ মিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী শাহিনুর রহমানের বিয়ে হয়। বিয়ের আট বছর পর তাদের ঘরে হাসান এবং ১৫ বছর পর মুস্তাকিন নামের ২ ছেলের জন্ম হয়।
৬ বছর আগে শাহীনুর সৌদিআরব থেকে স্থায়ীভাবে দেশে চলে আসে। দেশে আসার পর স্ত্রী স্বপ্না আক্তার তাকে যেকোনো চাকরি বা ব্যবসা করতে বলেন। স্বামীর বেকারত্ব নিয়ে উভয়ের মধ্যে মাঝে মাঝেই কথা কাটাকাটি হয়। এ বছরের জুলাই মাসে শাহীন ওয়াল্টন কোম্পানিতে চাকরি নেয়।
আড়াই মাস চাকরি করার পর ১৫-২০ দিন আগে সে চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে চলে আসে এবং স্ত্রীকে তার বাবার বাড়ির ওয়ারিশের সম্পত্তি আনার জন্য ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে। চাকরি ছেড়ে দেয়া, ওয়ারিশের সম্পত্তি আনা এসব বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে পুনরায় ঝগড়া হলে গত ২ সপ্তাহ আগে স্ত্রী স্বপ্না স্বামী শাহীনুরের সঙ্গে আর সংসার করবেনা বলে তার বাবার বাড়ি ব্রাক্ষণপাড়িল চলে আসে।
এক সপ্তাহ আগে শাহীনের বাবা সামাদ মিয়া এবং মা তারা ভানু অনেক বুঝিয়ে স্বপ্নাকে আবারো তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। তারপর শাহীন স্ত্রীকে আবারো ওয়ারিশের সম্পত্তি আনতে চাপ দিতে থাকে এবং শনিবার ভোরে এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে শাহিনুর তার ঘরে থাকা ধারালো বর্শ দিয়ে স্বপ্নাকে বুকে পিঠে আঘাত করে।
গুরুত্বর অবস্থায় স্বপ্নাকে শাশুড়ি তারা ভানু এবং পাশ্ববর্তী মসজিদের ইমাম টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ সময় হাসপাতালে লাশ ফেলে রেখে শাশুড়ি তারা ভানু পালিয়ে যায়।