ধলাই ডেস্ক: শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টা। ওই সময় কাঁকড়ি নদীর পাড়ে কচুর ফুল তুলতে গেলে একটি বস্তা দেখতে পান কৃষক হানিফ মিয়া। এ সময় বস্তাটি খুলতেই নড়ে ওঠে কম্বল মোড়ানো এক নবজাতক। পরে স্থানীয়রা এসে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর কলাবাগান বাজার এলাকায়।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে নদীর পাড়ে সাদা একটি বস্তা কে বা কারা ফেলে যায়। বস্তাটি দেখে তা খুলে ভেতরে কম্বল মোড়ানো অবস্থায় এক নবজাতককে দেখেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে শিশুটিকে রামচন্দ্রপুর গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন সবুজের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা নূর হোসাইন রাজিব বলেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে স্থানীয় কৃষক হানিফ মিয়া নদীর পাড়ে কচুর ফুল তুলতে গেলে বস্তাটি দেখতে পান। বস্তাটি খুলতেই দেখেন নড়াচড়া করছে এক নবজাতক। পরে শিশুটিকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান স্থানীয়রা। চিকিৎসা শেষে রামচন্দ্রপুর গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন সবুজ দম্পতির জিম্মায় শিশুটিকে রাখা হয়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি ত্রিনাথ সাহা বলেন, আপাতত নবজাতককে সবুজ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে রাখা হয়েছে। তার স্ত্রী সদ্য মা হয়েছেন। তাই নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়ার জন্য সবুজ ও তার স্ত্রীর হেফাজতে রাখা হয়েছে। শনিবার এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সমাজসেবা অধিদফতর।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন বলেন, নবজাতকের আনুমানিক বয়স তিন-চার দিন। তাই মায়ের দুধ খাওয়ানোর জন্য আপাতত সবুজ ও তার স্ত্রীর হেফাজতে রাখা হয়েছে। শনিবার তথ্য সংগ্রহ করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।