ধলাই ডেস্ক: বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিচ্ছেন এক নারীসহ ৩১ জন সাঁতারু। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটের সময় টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউপির শাহ্পরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্র সৈকত থেকে এই সাঁতার শুরু হয়। ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সাঁতার শেষ হবে সেন্ট মার্টিনে।
সাঁতারের আয়োজন করেছে ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এক্সট্রিম বাংলা’। ১৭ তম বাংলা চ্যানেল সাঁতার অনুষ্ঠিত হবে। এই আয়োজনে সহযোগিতার আছেন ভিসাথিং, ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড
বাংলা চ্যানেল সাঁতারের প্রধান সমন্বয়ক ও ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার। এখন পর্যন্ত ১৮ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সফল হলে টানা ১৯ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার রেকর্ড গড়বেন।
সাঁতারুরা হলেন লিপটন সরকার, মো. মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ শামসুজ্জামান আরাফাত, শেখ মাহবুব উর রহমান, সাইফুল ইসলাম রাসেল, আবুল কালাম আজাদ, মাসুদ রানা, আলী রওনাক ইসলাম, আবাদুল ইসলাম, মো. জিহাদ হুসেন, সালাহ উদ্দিন, মো. কামাল হোসেন, মো. শোহেল রানা, শৌভিক বড়ুয়া, উজ্জল চৌধুরী, মো. সাকিব মাহমুদ নাইম খান, মো. বদর উদ্দিন, মো. ফারুক হোসেন, এসএম শারিয়ার মাহমুদ, মো. আবু রাশেদ, মো. গোলাম রব্বানী, আব্দুল্লাহ আল সাবিত, শোয়েব তালুকদার, এসকে রায়হান আরাফাত আকাশ, মোছা. রেজিনা পারভিন, মো. তারেক হাসান, আব্দুল্লাহ আল তৌসিফ, মো. জামিল হোসেন, মো. নাসির উদ্দিন, রাশেদুল ইসলাম ও রাব্বি রহমান।
লিপটন সরকার জানান, এবার একজন নারীসহ ৩১ জন সাঁতারু অংশ নেবেন। এই সাঁতার আন্তর্জাতিক রীতি মেনে পরিচালনা করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। বাংলা চ্যানেল সাঁতারকে আন্তর্জাতিক করতে পেরেছি। ধারাবাহিকভাবে এ নৌপথে সাঁতার অনুষ্টিত হচ্ছে। প্রতিবারেই সাঁতারুরা অংশগ্রহণ বলে দিচ্ছে বাংলাদেশে দূরপাল্লার সাঁতার জনপ্রিয়।
বঙ্গোপসাগরে দূরপাল্লার সাঁতারের উপযোগী ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো বাংলা চ্যানেল সাঁতার অনুষ্ঠিত হয়। সেবার সাঁতারে অংশ নিয়েছিলেন লিপটন সরকার, ফজলুল কবির সিনা ও সালমান সাইদ।