![বাবার সুস্থতার জন্য বিশ্বকাপ বিসর্জন](https://dhalairdak24.com/wp-content/uploads/2020/01/66-1.jpg)
খেলা ডেস্ক: মাঠ ও মাঠের বাইরের নানান সব ঘটনা মিলিয়ে চলতি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরটা একদমই ভালো যাচ্ছে না ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের। নেতিবাচকতার সঙ্গে আর পেরে না উঠে, ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস এরই মধ্যে সফরটিকে অভিহিত করেছেন ‘অভিশপ্ত সফর’ হিসেবে।
তবে মাঠের ভেতরে যেমন তেমন, মাঠের বাইরে নিজের বাবার অসুস্থতাই বেশি নাড়িয়ে দিয়েছে স্টোকসকে। গুরুতর অসুস্থ বাবার সুস্থতার জন্য নিজের সব ব্যক্তিগত সাফল্য বিসর্জন দিয়ে দিতেও রাজি তিনি। তার চাওয়া একটাই, নতুন বছরে যেনো সুস্থ বাবাকেই ফিরে পান।
তবে হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও যত্নের সুবাদে এখন সুস্থতার পথে বেন স্টোকসের বাবা। তবু সে সময়টাকে একদমই ভুলতে পারছেন না স্টোকস। প্রিয় বাবার অসুস্থতা তাকে এতোটাই শঙ্কিত করেছিল যে, ২০১৯ সালে নিজের সব সাফল্যের বিনিময়ে হলেও বাবার সুস্থতাই চাইছেন তিনি।
গত বছরটা দারুণ কেটেছে স্টোকসের। ইংল্যান্ডকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা জেতানোর পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। পরে অ্যাশেজ সিরিজের হেডিংলি টেস্টে খেলেছিলেন বীরত্বপূর্ণ এক ইনিংস। কিন্তু এসব তার কাছে কোনো মূল্য রাখে না। সবার আগে স্টোকসের চাই বাবার সুস্থতা।
ব্রিটেনের দৈনিক পত্রিকা মিররে নিজের কলামে স্টোকস লিখেছেন, ‘স্মরণীয় একটি বছর কাটানোর পরেও শেষদিকে এসে আমি এটিকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবো বুঝতে পারছি না। কিছু অবিশ্বাস্য সাফল্য যেমন পেয়েছি তেমন অনেক ব্যর্থতাও দেখেছি। কিন্তু বাবাকে হাসপাতালে দেখা অন্য সবকিছুকে আলাদা করে দিয়েছে। কেউ যদি আমাকে বলে, ‘তোমার এ বছরের (২০১৯) সব সাফল্য নিয়ে যাবো, তবে তোমার বাবা সুস্থ থাকবে এবং তোমাকে খেলতে দেখবে’- তাহলে আমি বিনা বাক্য ব্যয়ে রাজী হয়ে যাবো।’
এ কলামেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরটিকে অভিশপ্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন স্টোকস। দলের ১১ জন সদস্য এবং কোচিং স্টাফের আরও ৬ জন এ সফরে গিয়ে অসুস্থ্য হয়েছেন। তাই দলীয়ভাবেই এটিকে অভিশপ্ত সফর বলা হচ্ছে বলে লিখেছেন স্টোকস। এ সফরে এখনও ৩টি করে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে হবে ইংল্যান্ডকে। যা শেষ হবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে।
তিনি লিখেছেন, ‘আমরা এটিকে অভিশপ্ত সফর বলছি। কারণ এ সফরে আসার আগে দলীয়ভাবে আমরা ভালো অবস্থানে ছিলাম না এবং গুছিয়ে নেয়ার যথেষ্ঠ সময়ও পাইনি। আমি এটাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাচ্ছি না। কিন্তু শারীরিক ও মানসিকভাবে এ সফরটা আমাদের জন্য কঠিন এক চ্যালেঞ্জই ছিলো।