বাসাবাড়ি দখলে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন! কমলগঞ্জে নারীসহ আহত-৩, থানায় অভিযোগ

প্রকাশিত: ৫:৩২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
ছবি ধলাইর ডাক

স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের শমসেরনগরে বাসাবাড়ি দখলের চেষ্টায় বাড়ির কেয়ারটেকার সবল বলে মালিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ২ নারীসহ মালিক পক্ষের ৩ জনকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টায় কমলগঞ্জের শমশেরনগর ডাকবাংলো সংলগ্ন বাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত শাহনাজ শিরিন কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। তবে অভিযোগ বিষয়ে প্রতিপক্ষের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

লিখিত বক্তব্যে শাহনাজ শিরিন বলেন, ১৯৭৭ সালে তার মা আলম আরা ও খালা জাহানারা খাতুন ক্রয় সূত্রে ২৮ শতক জমির মালিক হয়ে এখানে বসত ঘর নির্মাণ করেন। এখানে বসবাস করে লেখাপড়া করেন এবং বিয়ে হয়ে গেলে ও ভাইয়েরা দেশের বাহিরে চলে গেলে বাড়ি দেখাশুনার দায়িত্ব দেন ছোট মামা লতিফুর ইসলাম লস্করকে। জানুয়ারি মাসে বাবা মায়ের মৃত্যু দিবসে বাড়িতে এসে দোয়া মাহফিল করেন। চার বছর আগে মামা আফতাবুর ইসলাম লষ্করের মৃত্যুর পর থেকে মামি শামিমা আক্তার এ বসতভিটে দখলের চেষ্টা করেন।

কয়েক মাস পূর্বে মামী শামীমা আক্তার সন্ত্রাসী দ্বারা তাদের উপর হামলা করে আদালতে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। তাদের বাবা মোতাহের হোসেন চৌধুরী ও মা আলম আরার মৃত্যু দিবস উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার নিজ বসত ভিটে দোয়া মাহফিলের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় মামী শামিম আরা, মামাতো ভাই শাহরিয়ার আহমদ ও বোন সুবর্ণা আফরিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দা, লাটিসোটা নিয়ে অতকির্তে হামলা চালায়। দায়ের কুপে শাহনাজ শিরিনের বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ও তার স্বামী খলিলুর রহমান ও ছোট বোন শাম্মী নাসরিন চৌধুরী আহত হন।

ঘটনার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর থেকে বাসার নিরাপত্তায় পুলিশে নজরদারি থাকলেও পরবর্তী হামলার আশঙ্কায় রয়েছেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে বোন শাম্মী নাসরিন চৌধুরী বলেন, তাদের মামা আফতাবুর ইসলাম লস্কর বেকার ছিলেন বলে তাদের পরিবারের নিয়মিত আর্তিক সহায়তা দিয়েছি। এখন তাদের মামিসহ মামাতো ভাই বোন এ বসতভিটে জবর দখলে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। এ জন্য বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বাদি হয়ে চার জনকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ বিষয়ে বক্তব্য জানার চেষ্টা করে অভিযুক্ত মামী শামিম আরাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় দুটি অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।