ধলাই ডেস্ক: মানিকগঞ্জে বাসায় ঢুকে মেয়ের হাত-পা বেঁধে মাকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে শহরের দক্ষিণ সেওতা এলাকায় মেয়ের চোখের সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত মাহমুদা বেগম (৪০) দক্ষিণ সেওতা এলাকার ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামের স্ত্রী। খবর পেয়ে মাহমুদার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী ছিলেন।
নিহতের স্বামী জহিরুল ইসলাম বলেন, সকাল ৯টার দিকে বাসার পাঁচতলা ভবনের ছাদে কবুতর দেখাশোনা করছিলাম। এ সময় মাহমুদা ও বড় মেয়ে জ্যোতি (২০) বাসায় ছিল। সকাল ১০টার দিকে ঘরে ঢুকে দেখি হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে মেয়ে। বাসার আরেকটি কক্ষে মৃত অবস্থায় স্ত্রীকে দেখতে পাই।
নিহতের বড় মেয়ে জ্যোতির ভাষ্য, ৪-৫ জন দুর্বৃত্ত বাসায় ঢুকে আমাকে বেঁধে ফেলে। পাশের কক্ষে মাকে নিয়ে হত্যা করে চলে যায় তারা। এ সময় আমার ও মায়ের স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি শ্বাসরোধে গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শেষে হত্যার বিষয়টি জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাসায় ঢুকে মেয়ের হাত-পা বেঁধে মুখে কাগজ গুঁজে পাশের রুমে মাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। কি কারণে গৃহবধূ খুন হয়েছেন, খুনের রহস্য কি, তা উদঘাটনের চেষ্টা করছি আমরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার করা হবে।