বিজিবিকে দুটি হেলিকপ্টার দেওয়া হয়েছে, পুলিশের জন্যও আসছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৪:১৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৬, ২০২২
সংগৃহীত

ধলাই ডেস্ক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সীমান্ত এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গি তৎপরতা রোধে টহল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) দুটি হেলিকপ্টার দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় অত্যন্ত দুর্গম কিছু বর্ডার লাইন আছে। পায়ে হাঁটা ছাড়া সেখানে যাওয়ার উপায় নেই। এরপরও প্রধানমন্ত্রী বিজিবিকে দুটি হেলিকপ্টার দিয়েছেন এবং পুলিশের জন্যও দুটি হেলিকপ্টার আসছে।

শুক্রবার মহান বিজয় দিবসে রাজধানীর রাজারবাগ শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বেই জঙ্গিদের উত্থান ঘটানোর চেষ্টা হয়েছিল। জঙ্গি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তার জন্য জঙ্গিরা বাংলাদেশে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করতে পারেনি। জঙ্গিবাদকে আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি।

তিনি আরো বলেন, বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর বিষয়টি র‌্যাব ও ডিবি ভালোভাবে বিশ্লেষণ করেই বলেছে। আপনাদের (সাংবাদিক) কিছু জানার থাকলে তাদের সঙ্গে কথা বলুন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, র‌্যাব ও ডিবি ফারদিনের ডিজিটাইল ডিভাইস পর্যালোচনা করে ও প্রযুক্তির সহয়তায় একজন মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চ্যাটিংয়ের তথ্য পেয়েছে। সেই মেয়ের সঙ্গে ফারদিন তার ইচ্ছা-অনিচ্ছা, ভালো লাগা-মন্দ লাগার কথা শেয়ার করতেন।

এ সময় আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনা আমরা তদন্ত করেছি। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আমরা তার মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বলেছি। বান্ধবী বুশরাকে রামপুরায় নামিয়ে দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর ব্যাখ্যা দিয়েছি। আসলে তার সঙ্গে কেউ ছিল না, একা একাই বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছেন।

তিনি আরো বলেন, ফারদিন যাত্রাবাড়ী থেকে লেগুনায় করে ডেমরার সুলতানা কামাল সেতুর একপাশে নামেন। কিন্তু তিনি চনপাড়ার দিকে যাননি, সেখানে কোনো ঘটনাও ঘটেনি। ঘটনার পর ৩৮ দিন তদন্ত শেষে এটিকে আমরা আত্মহত্যার ঘটনা বলেছি। এ বিষয়ে বুয়েটের ৪০ জন শিক্ষার্থী আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে। আমরা তার পরিবার, বন্ধু-আত্মীয়দের বলেছি ফারদিন আত্মহত্যা করেছে।