ধলাই ডেস্ক: বিয়ের তিন দিন পার হয়েছে মাত্র। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুখের ফাগুন চলার কথা। কিন্তু হঠাৎ স্বামীকে ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেন নববধূ। রহস্যজনক কারণে স্বামীর হাত-পা বেঁধে বটি দিয়ে ইচ্ছেমতো কোপাতে থাকেন এ গৃহবধূ। এতে স্বামীর শরীরের একটি অঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সোমবার রাতে সিরাজগঞ্জের পৌর এলাকার রামগাঁতি গ্রামে ঘটা এমন অভিযোগ উঠার পর চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত নববধূর নাম তাহমিনা। তিনি কোবদাসপাড়ার মানিক হোসেনের মেয়ে।
গুরুতর আহত আবু হানিফ চর রায়পুর পূর্ব পাড়া নিবাসী মো. সোহরাব আলীর ছেলে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকেরা।
স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার মো. হানিফের সঙ্গে তাহমিনার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের তিন দিনের মাথায় সোমবার রাতে নববধূ তাহমিনা পানির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে স্বামীকে খাইয়ে দেন। পরে হাত পা বেঁধে বটি দা দিয়ে তাকে ইচ্ছেমতো কুপিয়ে আহত করেন। তার মাথায় একাধিক কোপের দাগ রয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়েছে হাতের একটি আঙুলও। পরে পরিবারের লোকজন টের পেয়ে হানিফকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয়দের দাবি, বিয়ের আগের প্রেমের জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা জানান, এ ঘটনায় নববধূ তাহমিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।