ধলাই ডেস্ক: ভারী বৃষ্টিতে গত এক সপ্তাহে ভারতের উত্তরপ্রদেশ ও বিহার রাজ্যে ১১০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বৃষ্টির পানি হাসপাতালে ঢুকে পড়ায় নিয়মিত রোগী ছাড়াও প্রায় ৯০০ জন কয়েদি এবং বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদিকে তার বাসভন থেকে উদ্ধার করতে হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ থেকে বিহারের চলাচলকারী সাতটি ট্রেন বন্ধ এবং আরও ছয়টি ট্রেনের গতিপথ বদল করতে বিকল্প পথে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। উভয় দেশের গ্রামাঞ্চলে হাজার হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত নাহয় ধসে পড়া ছাড়াও বিশাল পরিমাণ ফসলী জমি পানিতে এখন নিমজ্জিত।
বিহারের সঙ্গে সীমান্ত লাগোয়া উত্তরপ্রদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা বাল্লিলা, বারাণসি জৌনপুর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বিহারের রাজধানী শহর পাটনার অধিকাংশ এলাকা গত এক সপ্তাহের বৃষ্টিতে চরমভাবে বিপর্যস্ত। শহরের উচুতে অবস্থিত আবাসিক এলাকাগুলোও কয়েক ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে।
পাটনার দ্বিতীয় বৃহত্তম সরকারি হাসপাতাল নালন্দা মেডিকেল কলেজ। একশ একরের বেশি জায়গা জুড়ে এটি অবস্থিত। গুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালেও পানিতে অনেকটা নিমজ্জিত। তাই হাঁটু সমান পানির মধ্যে ডাক্তার ও অন্যান্য কর্মীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে।
গত বছরও হাসপাতালটি বন্যার কবলে পড়েছিল। তখন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) পানিতে ভেসে যায়। ওয়ার্ডের ভেতর ঢুকে পড়া পানিতে মাছের সাতার কাটার ভিডিও তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
উত্তরপ্রদেশের বাল্লিয়ালা জেলার একটি কারাগার থেকে ৮৬৩ জন কয়েদিকে উদ্ধার করে আরও দুটি কারাগারে সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অবশ্য ওই কারাগারে ৩৫০ জন বন্দির থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। কারাগারটি গঙ্গা নদীর পাশে নিচু স্থানে অবস্থিত।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাহায্য চেয়েছেন। যাতে করে তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে স্থানীয় মানুষজনকে সাহায্য করতে পারে। যেসব মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে তার মধ্যে উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি ও তার পরিবারও রয়েছে।