আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জনকে স্থানীয় এক মানবপাচারকারীর পরিবারের সদস্যরা গুলি করে হত্যা করেছে। নিহত বাকি চারজন আফ্রিকান। দেশটির মিজদা শহরে বৃহস্পতিবার এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
এ ঘটনায় আরো ১১ জন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তারা ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী এক বাংলাদেশি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
১৪ মে; রোজ বৃহস্পতিবার। ৩৮ বাংলাদেশিকে লিবিয়ার বেনগাজী থেকে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে ত্রিপলিতে নেয়া হচ্ছিল। দীর্ঘপথ পাড়ি দেয়ার পর মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তাদেরকে জিম্মি করে মানব পাচারকারীরা।
এরপর সবাইকে নিয়ে যাওয়া হয় মিজদা শহরে। সেখানেই তাদের ওপর শুরু হয় নির্যাতন। খাবার তো দূরে থাক, পানি পান করাও ছিল দুষ্কর বিষয়। কিন্তু নির্যাতন কঠিন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায়, তখন বাধা দেন অপহৃত ব্যক্তিরা। একপর্যায়ে অপহৃত ব্যক্তিরা মূল মানব পাচারকারীর লিবিয়ান ব্যক্তিকে হত্যা করেন।
এই খবর পাচারকারীর স্বজনদের কাছে পৌঁছে যায়। তারাসহ অন্য দুষ্কৃতিকারীরা জিম্মিদের উপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জন অভিবাসী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
ত্রিপলীস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, নিহত ২৬ বাংলাদেশির লাশ মিজদাহ হাসপাতালে সংরক্ষিত রয়েছে। আহত বাকি ১১ বাংলাদেশির হাত-পায়ে ও বুকে-পিঠে গুলি লেগেছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।