ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাঠে গরু ঢোকায় খেলা বাধাগ্রস্ত, দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

প্রকাশিত: ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২১
ফাইল ছবি

ধলাই ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে খেলার মাঠে গরু ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন।

রোববার দুপুরে ওই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ১২ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও বাকিদের নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে চাতলপাড় ইউনিয়নের রতনপুর খেলার মাঠে পার্শ্ববর্তী ভলাকুট ইউনিয়নের কয়েকজন যুবক ফুটবল খেলছিল। এ সময় রতনপুর গ্রামের হুমায়ন মাঠে গরু চরাতে যান। গরুর দড়ি ছিঁড়ে যাওয়াতে গরুটি খেলার মাঝখানে ঢুকে পড়ে। খেলার মাঠে গরু চলে আসায় খেলা বাধাগ্রস্ত হয়। পরে তারা গরুটিকে মাঠ থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে রতনপুর গ্রামের ছাড়ন গোষ্ঠীর হুমায়নের সঙ্গে পাশের গ্রাম ভলাকুট ইউনিয়নের হুনারু গোষ্ঠীর ছুট্টু মিয়া ও মঙ্গল মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে হুমায়নকে একা পেয়ে হুনারু গোষ্ঠীর লোকজন মারধর করেন। পরে এ ঘটনার জেরে রোববার (২৫ জুলাই) হুনারু গোষ্ঠীর ও ছাড়ন গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িতে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।

এ সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আহতদের উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নেয়া ব্যক্তিরা হলেন, হুমায়ন মিয়া, কামাল, ফিরোজ মিয়া, আলমগীর হোসেন, মোবারক, আলামিন, মো. সালাউদ্দিন, সুজন মিয়া, মোশাররফ, মো. এবাদত মিয়া, আব্দুর রহমান ও জিন্নত আলী। অন্যদের নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

নাসিরনগর থানার ওসি হাবিল্লাহ সরকার জানান, সংঘর্ষের ঘটনার পর চাতলপাড় এবং ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত দুই পক্ষের কেউ থানায় মামলা দায়ের করেনি।