বড়লেখা সংবাদদাতা: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় একটি মৎস্য খামারের ঝোঁপে মেছো বাঘের ৫টি ছানা পাওয়া গেছে।
তবে ছানাগুলোর এখনও চোখ ফুটেনি। ধারণা করা হচ্ছে, দুই-একদিন আগে ছানাগুলোর জন্ম হয়েছে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার রাঙাউটি গ্রামে স্থানীয় সাংবাদিক ইকবাল হোসেন স্বপনের বসত বাড়ির কাছে ছানাগুলো দেখতে পাওয়া যায়।
এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে মেছো বাঘের ছানাগুলো দেখতে দুপুর থেকেই উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় জমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাঙাউটি গ্রামে সাংবাদিক ইকবাল হোসেন স্বপনের বসত বাড়ির কাছে তাদের ব্যক্তিগত একটি মৎস্য খামার রয়েছে। ওই মৎস্য খামারের পাড়ে বেশ ঝোঁপঝাড় রয়েছে। বুধবার দুপুরে স্বপনদের রাখাল গরু নিয়ে মৎস্য খামারের পশ্চিম পাড়ে ঘাস খাওয়াতে গেলে গরুগুলো হাক-ডাক, দৌড়াদৌড়ি ও অস্বাভাবিক আচরণ করে। এ সময় বিভিন্ন প্রজাতির পাখ-পাখালিও কিচির-মিচির শুরু করে।
এমনটি কেন হচ্ছে তা জানতে সাংবাদিক স্বপন ঝোপঝাড়ের দিকে অগ্রসর হন। এ সময় হঠাৎ ঝোপ থেকে মেছোবাঘটি লাফিয়ে উঠলে তিনি ভয়ে চিৎকার দেন। পরে ওই স্থানে ৫টি মেছোবাঘের ছানা দেখতে পান। বাচ্চাগুলোর এখনও চোখ ফোটেনি।
ইকবাল হোসেন স্বপন জানান, প্রথমে তিনি বড় আকারের শিয়াল মনে করেছিলেন। বাচ্চাগুলো দেখার পর নিশ্চিত হন এটি মেছোবাঘ। মানুষ দেখে বাচ্চাগুলোকে ফেলে পার্শ্ববর্তী ষাটমা ছড়ার জঙ্গলের দিকে চলে যায় মেছোবাঘটি।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি বন বিভাগকে জানানো হয়েছে। তবে এখনও বন বিভাগের কেউ আসেনি।
এ বিষয়ে বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের সহযোগী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস জানান, তিনি বিষয়টি বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে জানিয়েছেন।