ধলাই ডেস্ক: মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় কিশোরীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় কামরুল হাসান কামাল নামে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুরে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন ওই যুবলীগ নেতা। পরে তার রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এর আগে শনিবার কিশোরীর বাবা থানায় মামলা করলে কামালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কামাল ঘিওর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঘিওর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, কিছুদিন আগে কিশোরীর বড় বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দেন কামাল। পরে কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। সেই সূত্রে ওই কিশোরীকে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে নিয়ে যেতেন কামাল।
দুই মাস আগে কামাল কিশোরীকে নিয়ে ঢাকায় বেড়াতে যান। সেখানে একটি হোটেলে ওঠেন তারা। হোটেল রুমে কামাল ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ছবি ভিডিও করেন। পরে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করতেন।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া ভিডিওটি কিছুদিন আগে দেখতে পান কিশোরীর বাবা। শনিবার এ ঘটনায় ঘিওর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন তিনি।