ডেস্ক রিপোর্ট: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে অধ্যক্ষ নিয়োগ কমিটির সদস্যদের আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত না করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে ‘ঢাকা মহানগরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল সংক্রান্ত’ আদেশ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়।
উপ-সচিব আনোয়ারুল হক স্বাক্ষরিত আদেশে ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যানের উদ্দেশে বলা হয়, গত ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ঢাকা মহানগরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া যথাযথ না হওয়ায় এ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে অধিকতর বিশ্বাসযোগ্য ও বিতর্কমুক্ত করে অধ্যক্ষ নিয়োগের লক্ষ্যে গভর্নিং বডিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়ার অনুরোধ করা হলো।
এছাড়া আদেশে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়ে ইতোপূর্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের নিয়োগ কমিটির সদস্যদের ভবিষ্যতে এ প্রতিষ্ঠানের মতো অন্য কোনো স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ নিয়োগ কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ নিয়োগ কমিটিতে ছিলেন ওই প্রতিষ্ঠানটির সেই সময়কার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি গোলাম আশরাফ তালুকদার, সদস্য আতাউর রহমান ও সদস্য মজিবুর রহামান। এছাড়া নিয়োগ কমিটিতে সদস্য হিসেবে ছিলেন- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী এবং ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদৌস আরা।
অভিযোগ ওঠে, ২৬ এপ্রিল ভিকারুননিসায় অধ্যক্ষ নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় ৩০ নম্বরের পরীক্ষায় প্রার্থী ছিলেন ১৩ জন। তাদের মধ্যে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুমানা শাহীন শেফা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সাড়ে তিন নম্বর পান। এরপরও তার মৌখিক পরীক্ষা ও একাডেমিক সনদের যোগ্যতা দেখে ওই প্রার্থীকে অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভায়ও ওই শিক্ষককে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়।
তবে ওই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানান পর্ষদের দুই সদস্য। এছাড়া কলেজের বাইরে থেকে অধ্যক্ষ নিয়োগ করা নিয়ে কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একধরনের অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। এসব অভিযোগ যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও। পরে গত ২৯ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় অধ্যক্ষ নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে। এখন তা বাতিল করা হলো।