ডেস্কি রিপোর্ট: সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢল ও সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভেসে গেছে দুই কোটি ৬২ লাখ টাকার মাছ। রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জেলার মৎস্যজীবীরা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে, পাহাড়ি ঢ্ল ও টানা বর্ষণে সুনামগঞ্জের ৬২১টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে দুই কোটি ৬২ লাখ ৩৪ হাজার ২০০ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ১২৫টি, ছাতকের চারটি, ধর্মপাশা উপজেলার ২৩টি, তাহিরপুর উপজেলার ২০টি, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ৩৩৬টি, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৭৮টি, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের ১০টি এবং জামালগঞ্জের ২৫টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
সদর উপজেলার হাছন নগরের মৎস্য খামারি রফিকুল ইসলাম কালা মিয়া বলেন, দুই দফা বন্যায় আমার পুকুরের ২-৩ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। আমি এখন নিঃস্ব। সরকারি সহযোগিতার জন্য মৎস্য অফিসে লিখিত আবেদন করেছি।
মাছ চাষি কামরুজ্জামান আওলিয়া বলেন, আমার পুকুরের পাঁচ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। আমি এখন নিঃস্ব। টাকা ঋণ করে মাছের চাষাবাদ করেছিলাম। কিন্তু কে জানতো এই বন্যায় সব মাছ ভেসে যাবে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে বিষটি জানিয়েছি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক বলেন, দুই দফায় ঢলে জেলার ৬২১টি পুকুরের প্রায় দুই কোটি ৬২ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। এতে খামারিদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের তালিকা আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। তাদের সহযোগিতা করা হবে।
মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া ভারী বর্ষণে সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে প্রায় ১৩ হাজার পরিবার। এর মধ্যে তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, জামালগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা অন্যতম।