ধলাই ডেস্ক: তিন সন্তানের এক জননী ছেলে মেয়েদের নিয়ে রাতে না খেয়ে ঘুমিয়ে আছেন। দিনের বেলা ধার করে এনে আলু সিদ্ধ করে খেলেও রাতে কোনো উপায় না পেয়ে উপোস অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়েছেন। বুধবার রাত ১০টার পর মোবাইলে ফোনে এ খবর পান সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সজল কুমার কানু।
খবর পেয়েই ঝড়ের গতিতে তিনি ছুটে গেলেন ক্ষুধার্ত মানুষগুলোর কাছে। তাদের মুখে তুলে দিলেন খাবার।
নিজের বাসা ও থানার মেসে রান্না খাবার নিয়েই ছুটে যান থানাধীন দুর্গম এলাকা কেচুটিলা গ্রামে। রাত প্রায় ১২টার দিকে অসহায় পরিবারের ৪ সদস্যকে খাইয়ে আসেন তিনি। এ সময় ৫০০ টাকাও দিয়ে আসেন বিধবা নারীকে। বুধবার রাতেই ওসি সজল কুমার কানু তার ফেসবুকে এ ঘটনাটি তুলে ধরেন।
তিনি জানান, রাত ১০টার দিকে খবর পেয়ে তার বাসা ও থানার মেসে রান্না করা খাবার দুইটি টিফিনে করে মোটরসাইকেলযোগে রওনা দেন কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন (সীমান্তবর্তী সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানা এলাকা) কেচুটিলা গ্রামে। সেখানে গিয়ে দেখেন এক অসহায় নারী তার দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে না খেয়েই ঘুমিয়ে আছেন। দিনের বেলা ধার করে আলু সিদ্ধ দিয়ে ভাত খেয়েছিলেন তারা। ওই নারীর স্বামী মারা গেছেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে। একটি ছেলে মাটি কাটার কাজ করে।
ওসি জানান, রাত ১১টা ৪০ মিনিটের সময় অসহায় নারীর বাড়িতে হাজির হয়ে বাচ্চাদের ঘুম থেকে তুলি। আমাদের হাতের টিফিন ক্যারিয়ারে খাবার দেখে অভুক্ত সন্তানদের মুখে হাসি ফুটে উঠে। এটা চাকরি জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি।
তিনি আরো জানান, মধ্যরাত হওয়ায় তাৎক্ষণিক ত্রাণের ব্যবস্থা করা যায়নি। ৫০০ টাকা হাতে দেয়া হয়েছে। এই দুর্গম কেচুটিলায় ১১৫টি পরিবারের অধিকাংশ লোক হতদরিদ্র। তাদের ত্রাণ দেয়ার জন্য বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত।