ধলাই ডেস্ক: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সববৃহৎ কৃত্রিম হ্রদ হচ্ছে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদ। এ হ্রদে রয়েছে বেশ কয়েক প্রজাতির মাছ। হ্রদের কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষম বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণে প্রতি বছরের মে থেকে জুলাই এ তিন মাস হ্রদের মাছ আহরণ বন্ধ থাকে। সেই অনুসারে আজ (৩০ এপ্রিল) মধ্য রাত থেকে বন্ধ হচ্ছে হ্রদের মাছ আহরণ কার্যক্রম।
১ মে থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস মাছ আহরণ বন্ধ থাকার বিষয়টির নিশ্চিত করে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, অন্যান্য বছরের মতো এবারও কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষম বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণে তিন মাস হ্রদে মাছ আহরণ বন্ধ থাকবে। এসময় হ্রদের মাছ আহরণের উপর জীবিকা নির্বাহ করা জেলেদের মাঝে সহায়তা প্রদান করা হবে।
প্রসঙ্গত, রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বদ্ধ জলাশয় সমূহের মধ্যে সর্ববৃহৎ। কাপ্তাই হ্রদের আয়তন প্রায় ৬৮ হাজার ৮০০ হেক্টর। যা বাংলাদেশের পুকুর সমূহের মোট জলাশয়ের প্রায় ৩২ শতাংশ এবং অভ্যন্তরীণ মোট জলাশয়ের প্রায় ১৯ শতাংশ।
১৯৬১ সালে রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষে এ হ্রদের সৃষ্টি হলেও এটি রাঙ্গামাটিতে মৎস্য উৎপাদন ও স্থানীয় জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখে আসছে।
একই সাথে মৎস্য উৎপাদনের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়েও ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এ হ্রদের মাছ আহরণের উপর ভিত্তি করে পুরো জেলায় জীবিকা নির্বাহ করছেন প্রায় ২২ হাজার জেলে।