বিনোদন ডেস্ক: কোটি কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে এই দিনে চির বিদায় নিয়েছিলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। বছর ঘুরে ঘুরে দিনটি আসে। আর নতুন করে স্মৃতি কাতর হয়ে পড়েন তার ভক্তরা। সুচিত্রা সেনের আজ ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী।
দেখতে দেখতে ছয় বছর পেরিয়ে গেল সুচিত্র নেই। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী। তার অমর আত্মার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
অবিভক্ত ভারতের বাংলাদেশের পাবনা জেলাতে ১৯২৯ সালের ৬ এপ্রিল এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রমা দাশগুপ্ত। তার বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ১৯৪৭ সালে বর্ধিষ্ণু শিল্পপতি পরিবারের সন্তান দিবানাথ সেনকে বিয়ের সূত্রে কলকাতায় আসেন পাবনার রমা।
বিয়ের পরে ১৯৫২ সালে ‘শেষ কথায়’ রূপালি পর্দায় নায়িকার ভূমিকায় প্রথম আত্মপ্রকাশ তার। পাবনার রমার নাম বদলে হয় সুচিত্রা। পরে তার হাত ধরেই বদলে যায় বাংলা চলচ্চিত্রের নায়িকার সংজ্ঞা। ‘সাত নম্বর কয়েদী’ ছবিতে অভিনয় করার পর সুচিত্রা সেন পিনাকী মুখার্জি পরিচালিত ‘সংকেত’ ছবিতে অভিনয় করেন। তখনও তিনি ‘সুচিত্রা সেন’ নাম ধারন করেননি। সে নাম আসে এর পরের ছবি অর্থাৎ নীরেন লাহিড়ীর ‘কাজরী’ ছবির মাধ্যমে ১৯৫২ সালে।
সুচিত্রা সিনেমা করতে এসে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হন উত্তমকুমারের জুটি হিসেবে। উত্তম-সুচিত্রা শব্দটি ছিলো তখনকার চলচ্চিত্রের আশির্বাদ। কখনো প্রেম যুগল, কখনো দাম্পত্যজীবনের গল্পে তারা হয়ে উঠেছিলেন অনবদ্য।
সুচিত্রা সেন অভিনীত শেষ ছবি ‘প্রণয় পাশা’ মুক্তি পায় ১৯৭৮ সালে। ওই বছরই তিনি সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে চিরতরে অবসরগ্রহণ করেন এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সেবায় ব্রতী হন।
এমনকি ২০০৫ সালে দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার নিতেও যাননি তিনি। ২০১২ সালে বঙ্গ বিভূষণ পুরস্কার পান। তার হয়ে কন্যা বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের একটি আসনের সাংসদ ও টালিগঞ্জের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মুনমুন সেন এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।
সুচিত্রা ছিলেন এক কন্যার জননী। সেই কন্যা মুনমুনও একজন গুণী অভিনেত্রী। সুচিত্রার দুই নাতনী রিয়া ও রাইমা সেনও নানীর মতোই অভিনয়কেই ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
