মাহে রমজান শুরু না হতেঃ কমলগঞ্জে দ্রব্যমূল্যের বাজারে আগুন: দিশেহারা নিম্ন আয়ের মানুষ

প্রকাশিত: ১০:২০ অপরাহ্ণ, মে ৬, ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার: রমজান মাসকে সামনে রেখে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। রমজান মাসের বাজার করতে এসে বেকায়দায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন, মাহে রমজান উপলক্ষে বাজারগুলোতে মাছ, মাংস, ডিম, কাঁচামরিচ, লেবুসহ বিভিন্ন ধরণের পণ্যদ্রব্যের দাম উর্দ্বগতি হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ভোক্তা সাধারণ। ভোক্তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার উপজেলার ভানুগাছ ও শমশেরনগ বাজারে খোঁজ নিয়ে এ চিত্র পাওয়া গেছে। তবে প্রশাসন নিয়মিত মনিটরিং করবে বলে দাবি করছে। মাহে রমজান মাস থাকার কারণে একটি সিন্ডিকেট চক্র প্রতিবারের ন্যায় এবারও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ পত্রের দাম বৃদ্ধি করেছে। সরেজমিনে বাজার ঘুরে ও ভোক্তাদের অভিযোগে জানা যায়, রমজান মাসকে উপলক্ষ্য করে বাজারে গরুর মাংস ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, ফার্মের মুরুগের কেজি ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা, ফার্মের লাল মোরগ প্রতি পিচ ৪২০ টাকা থেকে ৪৪০ টাকা, কাঁচামরিচ কেজি ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, লেবুর হালি ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া রসুন, দুধ, শশা, বেগুন, ধনিয়া পাতারও কিছুটা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বাজারে কলার দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। অধিকাংশ কাঁচা বাজার ও মোদি দোকানে জিনিসপত্রের মূল্য তালিকাও দেখা
যায়নি। ক্রেতা ডা: নূরুল ইসলাম, সবুর মিয়া, কামাল মিয়া, রাজ্জাক মিয়া বলেন, বাজারে তেলাপিয়া মাছের কেজি ১২০ টাকা দিয়ে সবসময় নিয়ে গেলেও এখন তেলাপিয়া মাছের কেজি ১৮০ টাকা মৃগেল মাছের কেজি ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য সকল প্রকার মাছেও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা আরও বলেন, রমজান মাস আসার কারণে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি করে মুনাফা লুটে নিচ্ছে। ফলে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের লোকদের ভোগান্তি বেড়ে গেছে। কৃষক সংগ্রাম সমিতি মৌলভীবাজার জেলার নেতা রমজান আলী, সমাজকর্মী তোয়াবুর রহমান বলেন, রমজানে একটি চক্র জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি করে মুনাফা নিয়ে থাকে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে তদারকি করে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, বাজারে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। ভ্রাম্যমান আদালত, জেলা থেকে ম্যাজিষ্ট্রেট টিম ও ভোক্তা অধিকার প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছে।