ডেস্ক রিপোর্ট: মাটিতে পড়ে রয়েছে দু’জন। একজন নারী ও আরেকজন যুবক। কিছু ‘উন্মত্ত’ লাঠি একের পর এক এসে পড়ছে তাদের গায়ে। প্রথমে কিছুক্ষণ লাঠির আঘাত থেকে বাঁচার প্রাণপন চেষ্টা করছিল তারা। তারপর একসময় সব থেমে গেল। আর কোনো সাড়া নেই, কোনো নড়াচড়াও নেই।
কিন্তু তবুও লাঠির আঘাত থামছে না। নড়চড়হীন শরীরগুলোর ওপরই ফের এসে পড়ছে লাঠি। নির্মম এই ঘটনা হার মানাবে মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে। কিন্তু চোখের সামনে এই নৃশংস দৃশ্য দেখেও চুপ ছিল পুলিশ!
নির্মমভাবে পিটিয়ে মা ও ছেলেকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে ভারতের আসাম প্রদেশের তিনসুকিয়ার শিপুর চা বাগানে। পুলিশের চোখের সামনেই মা ও ছেলেকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজ বলছে, গত ৫ জুন শিপুর চা বাগানের বাসিন্দা অজয় তাঁতির স্ত্রী রাধা তাঁতি ও তার ২ মাসের শিশু নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের দু’দিন পর শুক্রবার এলাকার একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় ২ মাসের সন্তান-সহ রাধা তাঁতির পচাগলা দেহ। আর তারপরই ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশেষ করে নারীরা।
উত্তেজিত জনতার আক্রোশের শিকার হয় অজয় তাঁতি ও তার মা যমুনা তাঁতি। অভিযোগ, পুলিশের সামনেই মা-ছেলেকে বেধড়ক পেটায় উত্তেজিত জনতা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যমুনা তাঁতির।
গুরুতর আহত অবস্থায় ছেলে অজয় তাঁতিকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাতে মৃত্যু হয় অজয় তাঁতির। স্ত্রী-ছেলেকে মারের হাত থেকে বাঁচাতে এসে আহত হয়েছেন অজয়ের বাবাও।