মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ কমলগঞ্জে বিমান বাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসারের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: ৪:৩৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫

ধলাই ডেস্ক: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পৈতৃক ভুমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে বিমান বাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার মোহাম্মদ কুতুব আলী তার আপন বড় ভাই দূর্ণীতি দমন কমিশনের উপ সহকারী পরিদর্শক মো. বশির আহমদের উপর মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী সহ হামলার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় বশির গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়াও পুনরায় হামলার আশংকায় স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন।

বশির এর লিখিত অভিযোগে জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের লঙ্গুরপার গ্রামের মৃত ছিদ্দেক আলীর দুই ছেলের মধ্যে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছে। একজন দূর্ণীতি দমন কমিশনের উপ সহকারী পরিদর্শক মো.বশির আহমেদ (বর্তমান কর্মস্থল সিলেট) ও ছোট ছেলে বিমান বাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার বিডি/৪৬৪৮-২৮ মোহাম্মদ কুতুব আলী (বর্তমান কর্মস্থল শমসেরনগর (প্রেষণে ক্যাব-ঢাকা) নিজ কর্মস্থলে থাকা অবস্থায় নানা সময় গ্রামের বাড়ীতে ছুটে আসেন। তাদের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের কারণে বড় ভাই দূর্ণীতি দমন কমিশনের উপ সহকারী পরিদর্শক মো.বশির আহমেদের বিরুদ্ধে ছোট ভাই বিমান বাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার মোহাম্মদ কুতুব আলীর স্ত্রী হাফিজুন আক্তার বাদী হয়ে দূর্ণীতি দমন কমিশনার ও মো.বশির আহমেদ কে ৬নং বিবাদী করে গত ৯ জুন ২৪ লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করে। প্রাপ্ত লিগ্যাল নোটিশের জবাব আইনজীবির মাধ্যমে প্রদান করার পর ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে স্ত্রী সহ স্ব-শরীরে দুদক কার্যালয়ে পুনরায় অভিযোগ করেন।

বশির বলেন, ছোট ভাইয়ের এই সব মিথ্যা অভিযোগ ও হরয়ানী থেকে প্রতিকার ছেয়ে গত ১০ জুন ২৪ সালে এয়ার অফিসার কমান্ডিং বিমান বাহিনী বরাবরে অভিযোগ দায়ের করি। তবে ছোট ভাইয়ের সহপাঠি সাবেক মৌলভীবাজার সদর আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মো. জিল্লুর রহমানের হস্তক্ষেপের কারণে আলোর মুখ দেখেনি।

তিনি আরো বলেন, বিরোধ নিস্পত্তির জন্য তৎকালীন সময়ে স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, মাধবপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আসিদ আলী সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালীস বৈঠকের মাধ্যমে পৈতৃক সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা করে মিমাংসা করে দেন। তারপর ও পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে কুতুব ও তার স্ত্রী নানা ভাবে হয়রানী ও নির্যাতনের পাঁয়তারা করতে থাকে। এর অংশ হিসাবে গত ২৬ ডিসেম্বর বশির আহম্মদ বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে বাড়ীর সম্মুখে কুতুব ও তার স্ত্রী ও সঙ্গিয় সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুত্বর আহত করে। স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান।

এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে সে ও তার স্ত্রী বর্তমান কর্মস্থল ঢাকায় চলে যায়। সেখান থেকে পূনরায় আমার পরিবার ও আমার বিরুদ্ধে হামলা-মামলার পরিকল্পনা করছে ও হুমকি প্রদান করে চলেছে। যার কারণে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। আমি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কুতুব আলীর বক্তব্য নেয়ার জন্য মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ভাইয়ের সাথে জমি জমার ব্যাপারটি মূল বিষয় নয়, আমি নন সিলেটি মেয়ে বিয়ে করার কারণে তিনি সমাজে আমি ও আমার পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমার উপর আনীত অভিযোগ সর্ম্পূন্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন।

এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৭ জানুয়ারী কমলগঞ্জের কয়েকজন সংবাদকর্মী ঘটনাস্থলে গেলে পুনরায় স্থানীয় শালীসানরা আবারো ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্য আগামী শনিবার শালিস বৈঠকের আহবান করছেন বলে মাধবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান পুস্পকুমার কানু সংবাদকর্মীদের জানান।