আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে সামরিক অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি ছুড়লে দুই জন নিহত হয়।
স্বেচ্ছাসেবী জরুরি সেবা সংস্থার কর্মীদের বরাতে আন্তার্জাতিক গণমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
নগরীটির স্বেচ্ছাবেসী জরুরি সেবা সংস্থা ‘পারাহিতা ডারহি’র নেতা কো অং বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “দুই জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন।”
আজও মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার অভ্যুত্থান বিরোধী রাস্তায় নেমে এসে সামরিক শাসনের অবসান ও নেত্রী অং সান সু চিসহ অন্যদের মুক্তির দাবিতে শ্লোগান দেয়। এসব প্রতিবাদ বিক্ষোভে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্য ছাড়াও কবি, পরিবহনশ্রমিক ও অন্যান্য পেশার মানুষ অংশ নেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মান্দালয়ে পুলিশের কাঁদুনে গ্যাস ও গুলির মুখে কিছু প্রতিবাদকারী গুলতি ছুড়ে জবাব দেয়। তবে পুলিশ তাজা গুলি ছুড়েছে না রবার বুলেট ব্যবহার করেছে প্রাথমিকভাবে তা পরিষ্কার হয়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি।
একজন স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক বলেন, “মাথায় গুলি লেগে একজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। বুকে গুলিবিদ্ধ আরেকজনের পরে মারা যান।”
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরুর পর শুক্রবার প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ২০ বছর বয়সী মিয়া থোতে থোতে খায়ং নামের এক নারী রাজধানী নেপিডোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ৯ ফেব্রুয়ারি নেপিডোতে সেনাশাসনবিরোধী বিক্ষোভকালে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।