মুরাদের মন্তব্যের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন কাদের

প্রকাশিত: ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৬, ২০২১

ধলাই ডেস্ক: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সাম্প্রতিক আলোচিত মন্তব্যকে ‘তার ব্যক্তিগত বিষয়’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অবশ্যই আমি বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবো।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ সফলভাবে পালনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা করেন কাদের।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে দলটি রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে দাবি করে তিনি বলেন, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপি ক্রমাগত মনগড়া বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে, যা নিয়ে তাদের দলের কাছেই একদিন জবাবদিহি করতে হবে নেতাদের।

খালেদা জিয়া না থাকলে আওয়ামী লীগ নাকি থাকবে না, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য জনগণের মধ্যে হাস্যরসে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ঠিকই থাকবে, তবে বেগম জিয়া না থাকলে বিএনপি থাকবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

দেশে বিচারব্যবস্থা স্বাধীন নয়, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা এখন আত্মবিশ্বাস হারানো এক পথভ্রান্ত রাজনৈতিক দল।

তিনি আরও বলেন, শোভাযাত্রায় বিভিন্ন ব্যানার, ফ্যাস্টুন ও সাজসজ্জা থাকবে, কিন্তু মানুষের যাতে ভোগান্তি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ব্যানার-ফ্যাস্টুনে বঙ্গবন্ধু, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের চেয়ে কারও কারও ছবি বড় দেখা যায়, এটা করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি দেওয়ার পর কোনো ব্যক্তিবিশেষের ছবি দেওয়া যাবে না। তবে সৌজন্যে নাম দেওয়া যাবে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ সমাপনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে পাড়া-মহল্লায় আলোকসজ্জা করার নির্দেশনা দেন ওবায়দুল কাদের।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।

সূত্র: জাগো নিউজ…