ডেস্ক নিউজ: এসএসসির ফলাফলে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড টানা তৃতীয়বারের মতো দেশসেরা হয়েছে। এ বছর এই বোর্ডে পাসের হার ৯১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আনারুল হক প্রামানিক এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, এ বছর সব বিষয়ে পাস করেছে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৮২৮ জন। জিপিএ-ফাইভ পেয়েছে ২২ হাজার ৭৯৫ জন শিক্ষার্থী। ফলে এবার পাসের হারে দেশ সেরা হয়েছে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড।
পাসের হারে টানা অষ্টম বছরের মতো ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা ভালো ফলাফল করেছে। এবার গতবছরের চেয়ে জিপিএ-ফাইভ প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে।
গত বছর রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। এর আগে ২০১৭ সালে পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৭০, ২০১৬ সালে ৯৫ দশমিক ৭০, ২০১৫ সালে ৯৪ দশমিক ৯৭, ২০১৪ সালে ৯৬ দশমিক ৩৪, ২০১৩ সালে ৯৪ দশমিক ০৩ এবং ২০১২ সালে ছিল ৮৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
এসএসসির ফলাফলে ২০১২ সালের পর সর্বনি¤œ পাসের হার ছিল গত বছর। তবু ওই বছর টানা দ্বিতীয়বারের মতো দেশসেরা হয়েছিল রাজশাহী বোর্ড। এবারও সারাদেশের ১০ শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাসের হার দিয়ে হ্যাটট্রিক করল রাজশাহী। এবার রাজশাহী বিভাগের আট জেলা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২ লাখ ৪ হাজার ৮৩৫ জন শিক্ষার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ছিল ১ লাখ ৭ হাজার ২৬৩ জন এবং ছাত্রী ছিল ৯৬ হাজার ৬১৮ জন। এবার নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮০ হাজার ৩০৩ জন। আর অনিয়মিত ছিল ২৪ হাজার ৪৭ জন। এছাড়া মানোন্নয়নের জন্য আরও ২৩৬ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। বিভাগের আট জেলায় মোট ২৫৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এবার ছাত্রদের পাসের হার ৯০ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর ছাত্রীদের পাসের হার ৯২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। আর শতভাগ পাস করেছে ৪৩১টি স্কুলের পরীক্ষার্থীরা। কেউ পাস করেনি রাজশাহীতে এমন স্কুল নেই। রাজশাহী বোর্ডে এবার ২ হাজার ৬৪৬টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষায় অংশ নেয়।
বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনারুল হক প্রামানিক বলেন, গত বছর রাজশাহী বোর্ড দেশসেরা হলেও পাসের হার কম ছিল। তাই এবার তারা সতর্ক ছিলেন। শিক্ষকদের আরও ভালভাবে পড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। সবাই চেষ্টা করেছেন। আর এ কারণে পাসের হার বেশি হয়েছে।
রাজশাহী ও মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বাদে দেশের অন্য শিক্ষাবোর্ডগুলোর মধ্যে এবার ঢাকায় পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬২, কুমিল্লায় ৮৭ দশমিক ১৬, বরিশালে ৭৭ দশমিক ৪১, যশোর বোর্ডে ৯০ দশমিক ৮৮, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭৮ দশমিক ১১ ও দিনাজপুরে ৮৪ দশমিক ১০ শতাংশ। ৭০ দশমিক ৮৩ শতাংশ পাসের হার নিয়ে সবার নিচে অবস্থান করছে সিলেট বোর্ড।
গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয়। এ বছর সারাদেশের গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ।