ডেস্ক রিপোর্ট: বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার রাতুল সিকদারের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বুধবার রাতে রাতুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানালেও কখন, কোথা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তদন্তের স্বার্থে তা জানায়নি পুলিশ। রাতুল বরগুনার কলেজ রোডের একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র।
এ বিষয়ে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বরগুনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, রাতুলকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতুলকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। পরে তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে ৯ জুলাই সন্দেহভাজন অভিযুক্ত রাফিউল ইসলাম রাব্বি রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
১ জুলাই আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ১১ নম্বর আসামি মো. অলিউল্লাহ অলি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা তানভীর একই আদালতে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
৪ জুলাই রিফাত হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি চন্দন ও ৯ নম্বর আসামি মো. হাসানও একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ৫ জুলাই একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের ফুটেজ দেখে শনাক্ত হওয়া ও তদন্তে বেরিয়ে আসা অভিযুক্ত মো. সাগর এবং নাজমুল হাসান।
এদিকে এ মামলার দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার সকালে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রামদা উদ্ধার করে পুলিশ। নয়ন বন্ডের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের হত্যা ও অস্ত্র আইনে করা দুটি মামলায় রিফাত ফরাজিকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় সাতদিন রিমান্ড শেষে পুলিশের দায়ের করা অস্ত্র মামলায় সাতদিনের রিমান্ডে রয়েছেন রিফাত ফরাজি।
এছাড়া এ মামলার ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় ও সন্দেহভাজন অভিযুক্ত আরিয়ান শ্রাবণ পাঁচদিনের ও সাইমুন তিনদিনের রিমান্ডে রয়েছেন।