রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইউরেনিয়াম সরবরাহে জন্য চুক্তি

প্রকাশিত: ৬:১০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৬, ২০১৯
ছবি সংগৃহীত

ডেস্ক রিপোর্ট: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি (ইউরেনিয়াম) সরবরাহের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং পরমাণু সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার টিভিইএল জয়েন্ট স্টক কোম্পানির মধ্যে এ চুক্তি সই হয়। চুক্তির আওতায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে লাইফ টাইম ইউরেনিয়াম সরবরাহ করবে রাশান রাষ্ট্রীয় কোম্পানিটি।

চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ফ্রেমওয়ার্ক অনুসরণ করা হয়েছে। এতে ইউরেনিয়াম প্রাইস, কনভারশন সার্ভিস, এনরিচমেন্ট সার্ভিস ও ফুয়েল ফেব্রিকেশন বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। ১০ বছর পর পর এর দর পুনর্মূল্যায়ন করার সুযোগ থাকছে বলে জানিয়েছে আনবিক শক্তি কমিশন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, ফুকুশিমার মতো দুর্ঘটনা ঘটলেও আমাদের কোনো ভয় নেই। আপনারা দেখেছেন কর ক্যাচার নামে নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। ফুকুশিমায় গ্যাস বের হতো, এখানে গ্যাস বের হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

চুক্তি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবী যেভাবে চুক্তি করে আমরাও সেভাবে করছি। আমাদের ক্ষতি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মানুষের সামান্য ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সবকিছু করা হচ্ছে মানুষের স্বার্থে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এটা শুধু বিদ্যুৎ না, এটা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে মাইলস্টোন। আমরা উন্নত প্রযুক্তিতে প্রবেশ করছি।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান মাহাবুবুল হক, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিচালক শৌকত আকবর, জ্বালানি সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক পরিচালক ফেদর শকোলভ, বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশান রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার আই ইগনাটভ প্রমুখ।

পাবনার রূপপুরে নির্মাণাধীন এই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। যেটি উৎপানে আসবে ২০২২ সালে। আর দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৩ সালে উৎপাদনে আসবে।