ধলাই ডেস্ক: পাবনার চাটমোহর উপজেলার ইসলামিক হাসপাতাল নামের একটি ক্লিনিকে অপারেশনের সময় তাছলিমা খাতুন (৩৫) নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।
রোগীর মৃত্যুর পর পালানোর সময় সাদ্দাম হোসেন নীরব নামে এক সার্জন ও তার সহকারী আসাদুজ্জামানকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। আটক সার্জন সাদ্দাম হোসেন বড়াইগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা। তবে ক্লিনিক মালিক আমির হোসেন বাবলু পালিয়ে গেছেন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে সার্জন ও তার সহকারীকে পাবনা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বিকেলে এ ঘটনায় চাটমোহর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চাটমোহর উপজেলার পৌর শহরের নারিকেলপাড়া মহল্লার ইসলামিক হাসপাতালে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। মৃত প্রসূতি তাছলিমা খাতুন উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথড় গ্রামের ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার প্রসব ব্যথা উঠলে তাছলিমা খাতুনকে চাটমোহর ইসলামিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে সার্জন সাদ্দাম হোসেন নীরব, ক্লিনিক মালিক আমির হোসেন বাবলু, ডাক্তারের সহকারী আসাদুজ্জামান এবং দুজন নার্স মিলে তাছলিমার অস্ত্রোপচার করে একটি কন্যাসন্তান ভূমিষ্ঠ করান।
এ সময় রোগীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে অবস্থা বেগতিক দেখে সার্জন, সহকারী এবং ক্লিনিক মালিক পালানোর চেষ্টা করেন। তখন সার্জন ও তার সহকারীকে আটক করতে পারলেও পালিয়ে যান ক্লিনিক মালিক আমির হোসেন বাবলু।
এদিকে, পুরো অপারেশন থিয়েটার রক্তে ভেসে যায়। অবস্থা দেখে রোগীর স্বজন এবং স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। সেই সঙ্গে সার্জন ও তার সহকারীকে গণধোলাই দেন তারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রোগীকে পাবনা সদর হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. বায়েজিদ-উল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ওই ক্লিনিকে যাই। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে রোগীকে সেলাই না দিয়েই পালিয়ে যান ডাক্তার এবং নার্স। সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রোগীকে পাবনা সদর হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
চাটমোহর থানা পুলিশের ওসি সেখ নাসীর উদ্দিন বলেন, ডাক্তার সাদ্দাম হোসেন এবং তার সহকারী আসাদুজ্জামানকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।