রোববারের মধ্যে অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক বন্ধ না হলে কঠোর ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ৬:৪৩ অপরাহ্ণ, মে ২৮, ২০২২

ধলাই ডেস্ক: স্বাস্থ্য অধিদফতরের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সারা দেশের সব অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অধিদফতরটির পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. বেলাল হোসেন। শনিবার দুপুরে তিনি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। বেঁধে দেওয়া সেই সময় আগামীকাল রোববার শেষ হচ্ছে।

অধিদফতরের পরিচালক বলেন, অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে। ৭২ ঘণ্টা শেষ হলে আমরা বসব। নিবন্ধনের কতটা অগ্রগতি হয়েছে, অবৈধ কতগুলো ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ হয়েছে আমরা তা দেখব। এরপর সে অনুযায়ী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ও সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তাদের সঙ্গে বসে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।

কতগুলো অবৈধ ক্লিনিক এ পর্যন্ত বন্ধ হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোববার পর্যন্ত তাদের সময় দেওয়া হয়েছে। বেঁধে দেওয়া সময়ের পর আমরা সেই তথ্য জানাব।

পরিচালক ডা. বেলাল হোসেন বলেন, সারা দেশে কতগুলো অবৈধ ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে, সেই তথ্য আমাদের কাছে নেই। কারণ যারা অবৈধভাবে ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার দিয়েছে, তাদের সংখ্যাটা বলা যাচ্ছে না। যারা আবেদনই করেনি, তাদের তথ্য আমরা জানব কী করে?

তালিকা ছাড়া অভিযান কীভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক বলেন, অবৈধগুলোর নির্দিষ্ট তালিকা না থাকলেও বৈধদের তালিকা জেলা সিভিল সার্জনদের কাছে রয়েছে। ধরুন, নরসিংদী জেলায় ৫০টি নিবন্ধিত ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। সেই তালিকাটি কিন্তু ঐ জেলার সিভিল সার্জনের কাছে রয়েছে। এর বাইরে যেগুলো রয়েছে, সেগুলোর সম্পর্কে অবশ্যই সিভিল সার্জন বলতে পারেন। সে অনুযায়ী, আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। অভিযানের ক্ষেত্রে সিভিল সার্জনের বড় একটি ভূমিকা রয়েছে।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী- দেশে অনুমোদিত ও আবেদন করা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার।