ধলাই ডেস্ক: কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের কারণে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে। জেলার ২৩ লাখ জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য রয়েছে ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল। অথচ সেখানে অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ সিট রোহিঙ্গাদের দখলে। ফলে স্থানীয়দের চিকিৎসার জন্য দৌড়াতে হচ্ছে ব্যয় বহুল প্রাইভেট হাসপাতালে।
উখিয়ার শামসুল আলম নামে এক শিক্ষক জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জেলা সদর হাসপাতালসহ কোথাও স্থানীয় লোকজন কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না। হাসপাতালের বেড ফ্লোর কোথায় জায়গা খালি নেই। বাধ্য হয়ে নিম্ন আয়ের লোকজনকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের মুছারখোলা গ্রামের ওসেসিং চাকমা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে গত ১ অক্টোবর শুক্রবার সিট না পেয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
উখিয়ার রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, আমার ইউনিয়নে ৪৫ হাজার লোক বাস করেন। সেক্ষেত্রে রোহিঙ্গা রয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার। তাই শুধু চিকিৎসা সেবা নয় সামগ্রিক নাগরিক সুবিধা থেকে স্থানীয় লোকজন বঞ্চিত হচ্ছেন। অথচ রোহিঙ্গারা সর্বক্ষেত্রে বিলাসী জীবন যাপন করছেন।
কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সেবা দিতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন। তারপরও চিকিৎসকরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। চিকিৎসকরা রোহিঙ্গাদের বাড়তি বোঝা বহন করতে গিয়ে রীতিমতো হাঁপিয়ে উঠছেন।