ধলাই ডেস্ক: চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে নিহত হওয়া পাঁচজনের লাশ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছেন এলাকার লোকজন। এ নিয়ে সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার চিতোষী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে চিতোষী হাসনাবাদ সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিতোষী এলাকার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ এলাকার তিনজন নিহত হন। তাদের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনরা নিতে প্রশাসনের কাছে ব্যর্থ হন। ফলে তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যায় উঘারিয়া তদন্ত কেন্দ্র থেকে মরদেহ শাহরাস্তি থানায় নিচ্ছিল পুলিশ। এ সময় পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান স্বজনরা। একপর্যায়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে লাশ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধ্য হয়ে গুলি ছোড়ে।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, প্রায় আধা ঘণ্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গোলাগুলির পর লাশ নিয়ে থানায় চলে আসে পুলিশ। এ সময় দুই পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ১টার দিকে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের পূর্ব নরহ গ্রামে একটি প্রাইভেটকার পুকুরে পড়ে পাঁচজন নিহত হন। নিহতরা হলেন- কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের রামদেবপুর গ্রামের মো. শাহ পরান তুষার, একই এলাকার নরপাইয়া গ্রামের শাকিল, চাঁপা কেশতলা গ্রামের রেজাউল করিম এবং যশোরের শার্শা উপজেলার ধান্যখোলা গ্রামের মো. নয়ন ও গাজীপুর সদর উপজেলার উত্তর খাইলকুর গ্রামের মো. সাগর হোসেন।