আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আধুনিক কুয়েতের স্থপতি হিসেবে পরিচিত আমির শেখ সাবাহ আল-আহমদ আল-সাবাহর মৃত্যুর পর দেশটির যুবরাজ শেখ নওয়াফ আল-আহমদ আল-সাবাহ নতুন আমির হিসেবে শপথ নিয়েছেন। বুধবার তিনি দেশটির পার্লামেন্টে নতুন আমির শপথগ্রহণ করেছেন বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
মঙ্গলবার দেশটির আমির শেখ সাবাহ (৯১) যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। কুয়েতের এই আমির নানামুখী সঙ্কটে জর্জরিত মধ্যপ্রাচ্যে ছিলেন অন্যতম মধ্যস্থতাকারী। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর টানাপড়েন ও সংঘাতে মধ্যস্থতায় প্রায়ই এগিয়ে আসতেন তিনি।
গত জুলাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন শেখ সাবাহ। বুধবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার মরদেহ দেশে আসার কথা রয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে কুয়েতের প্রয়াত এই আমিরের জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠান সীমিত পরিসরে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২০০৬ সালে দেশটির আমির শেখ জাবের আল-আহম আল-সাবাহ মারা যাওয়ার পর হাজার হাজার কুয়েতি ও প্রবাসী তার শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবার সেই সুযোগ থাকছে না।
কুয়েতের এই আমিরের মৃত্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র এবং সরকার প্রধান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতি ও রাজনীতির রক্ষক এবং মানবিকতার উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে মনে করা হতো শেখ সাবাহকে।
সর্বশেষ কাতারের সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন কয়েকটি দেশেটির কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন ও উত্তেজনা প্রশমনে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত বড় ধরনের সংঘাত এড়ানো গেলেও কাতারের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের সেসব দেশের টানাপড়েনের অবসান ঘটেনি। সাবেক দখলদার ইরাকের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
সূত্র : রয়টার্স, আলজাজিরা।