ডেস্ক নিউজ: জাতীয় প্রেসক্লাবের এক অনুষ্ঠানে মোবাইল ফোন হারানোর ঘটনায় সাংবাদিকদের ‘চোর’ সম্বোধন করার অভিযোগে অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলা রমনা থানার পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে আগামী ১৬ জুন প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালত এই আদেশ দেন। এর আগে এই আদালতে এ সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেন স্টুডেন্ট জার্নাল বিডির (অনলাইন পত্রিকা) সম্পাদক মিঞা মো. নুজহাতুল হাসান। সে সময় আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পরে আদেশ দেবেন বলে মৌখিকভাবে জানানো হয়।
গত বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রেসিডেন্ট শমী কায়সারের দুটি স্মার্টফোন চুরি হয়। এসময় সেখানে অর্ধশত সাংবাদিক এবং শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল ফোন দুটি চুরির পর শমী কায়সার সাংবাদিকরাই চুরি করেছে বলে অভিযোগ করেন এবং তার নিরাপত্তাকর্মীদের দিয়ে সংবাদকর্মীদের দেহ তল্লাশি করান। এসময় কেউ ঘটনাস্থল থেকে বের হতে চাইলে তাদের ‘চোর’ বলে ওঠেন শমী কায়সারের নিরাপত্তাকর্মীরা। এতে বিক্ষুব্ধ সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন।
পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে কেক নিয়ে আসা লাইটিংয়ের এক কর্মী স্মার্টফোন দু’টি নিয়ে গেছেন। ভিডিও ফুটেজ দেখার পর সাংবাদিকদের প্রতি ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেন শমী কায়সার।
ঘটনাটি নিয়ে পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শমী কায়সারকে নিয়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
আর এ ঘটনায় শমী কায়সারকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজেসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন।