ধলাই ডেস্ক: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ঘুমের ওষুধ মেশানো শরবত খাইয়ে ধর্ষণের চেষ্টায় ১৩ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আসামি বাহারুল আলম বাহার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
রোববার বিকেলে লক্ষ্মীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়হান চৌধুরীর আদালতে জবানবন্দি দেয় বাহারুল। স্কুলছাত্রীর বড় বোনের সঙ্গে অভিমান করে কৌশলে বেড়াতে নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছিল।
রামগঞ্জ থানার এসআই মহসিন চৌধুরী জানান, আদালতে আসামি বাহার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এতে বলা হয়, কৌশলে শরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাহার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে তার মৃত্যু হয়।
মহসিন জানান, গতকাল শনিবার রাতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি ওই ছাত্রীকে দাফন করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ তুলতে লক্ষ্মীপুরের ডিসির কাছে আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি পেলে তোলা হবে। এতে ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জানা যাবে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় রোববার সকালে বাহারসহ দুইজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত চারজনের বিরুদ্ধে রামগঞ্জ থানায় মামলা করেন স্কুলছাত্রীর বাবা। এর আগে শনিবার রাতেই এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বাহারকে আটক করে পুলিশ। অপর আসামি হলেন বাহারের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার। গ্রেফতার বাহার বাউরখাড়া গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে ওই স্কুলছাত্রীকে নিজেদের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে আসে বাহার ও তার স্ত্রী রাবেয়া। রাবেয়া স্কুলছাত্রীর বাবার বাড়ির সম্পর্কে নাতনি হয়। এরপর বিকেলে স্কুলছাত্রী তাদের বাড়িতেই মারা যায়। পরে হৃদরোগে মারা গেছে বলে মা-বাবার কাছে স্কুলছাত্রীর মরদেহ নিয়ে আসা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাহার ও রাবেয়া চলে যায়। পরে স্কুলছাত্রীকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে মরদেহ গোসলের জন্য আসা একই গ্রামের সেলিনা আক্তার ও সেলিনা বেগম জানান, তারা স্কুলছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন। এ সময় স্পর্শকাতর স্থানে রক্তক্ষরণ দেখা গেছে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। রাতেই এলাকার লোকজন বাহারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
১২ জুন সদর উপজেলার পালেরহাট পাবলিক হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী হিরামনিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। আলোচিত এ ঘটনা দেশব্যাপী ব্যাপক তোলপাড় হয়েছে। এ ঘটনায় তিন আসামি কারাগারে রয়েছেন।