বিনোদন ডেস্ক: মুম্বাইয়ের বান্দ্রার সবচেয়ে অভিজাত এলাকায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে মায়ানগরীর অন্যতম আকর্ষণ ‘মান্নাত’। বলা হয়ে থাকে, মুম্বাই দর্শন অসম্পূর্ণ থাকবে, যদি কেউ মান্নাতের সামনে দাঁড়িয়ে একটা ছবি না তোলে। আরব সাগরমুখী এই ছয় তলা বাংলোটি রাজপ্রাসাদের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের স্বপ্নের রাজমহলটি আধুনিকতা আর ঐতিহ্যের এক অদ্ভূত মিশেলে তৈরি।
রূপকথার নায়কের বাড়ি মান্নাতের ভেতরটা দেখার আগ্রহ সবারই। মাঝেমধ্যেই সবার প্রিয় কিং খানের সেই সাম্রাজ্যের সৌন্দর্য দেখার সুযোগ করে দেন শাহরুখ-গৌরী দম্পতি। নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে মান্নাতের অন্দরমহলের ছবি পোস্ট করেন তারা। গৌরী একজন অন্দরসজ্জা শিল্পী। তাই স্বামীর কাছ থেকে উপহার পাওয়া এই ‘মান্নাত’কে নিজের মনের মতো করে সাজিয়েছেন তিনি।
আরব সাগরের তীরে অবস্থিত মুম্বাইয়ের সবচেয়ে সুন্দর প্রাসাদ বলে গণ্য করা হয় মান্নাতকে। শাহরুখের ট্রফি আর অ্যাওয়ার্ড রাখার জন্যই মান্নাতে রয়েছে একটা আলাদা কামরা। আদ্যোপান্ত সিনেমাপ্রেমী মানুষ শাহরুখের বাড়িতে প্রবেশের সময়ই ‘শোলে’, ‘রাম অউর শ্যাম’, ‘মুঘল-এ-আজম’-এর পোস্টার। চার্লি চ্যাপলিনের লাঠিও দেখতে পাবেন শাহরুখের মান্নাতে।
গৌরীর মতে, তাদের তিন সন্তানই তাকে মান্নাত সাজাতে সাহায্য করেছে। প্রত্যেকের স্টাইল আর ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী এটিকে সাজিয়েছেন তিনি। গৌরী বলেন, এই বাড়ির কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই। আমার বাড়িতে হোমওয়ার্ক করা বা খাওয়ারও কোনো সময় নেই। কিন্তু আমার সন্তানরা স্কুল থেকে ফিরলে সবসময় আমাকে বাড়িতে পায়। ওদের পাশে আমার থাকাটা খুব জরুরি।
নারিমান ডুবাসের কাছ থেকে ১৯৯৫ সালে এই বাংলোটি কেনেন শাহরুখ। সেই সময় এর নাম ছিল ভিলা ভিয়েনা। বাংলোটি কেনার পর ৪ বছর পর্যন্ত আইনি জটিলতার কারণে এর নাম পাল্টাতে পারেননি শাহরুখ। শেষ পর্যন্ত ২০০৫ সালে ‘ভিলা ভিয়েনা’র নাম বদলে রাখা হয় ‘মান্নাত’। বর্তমানে বাড়িটির বাজারদর ২০০ কোটি টাকা।