ধলাই ডেস্ক: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘শাহানা’ কার্টুন দেখে মেয়েরা প্রতিবাদ করা শিখবে। স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে চলতে গেলে বয়ঃসন্ধিকালে যৌন হয়রানিসহ অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করা শিখতে হবে। এ কৌশলগুলো শেখাতে শাহানা কার্টুন সহায়তা করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর লেক সার্কাস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে নমুনা ক্লাসের মাধ্যমে ষষ্ঠ থেকে নবম-দশম শ্রেণি সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের সঙ্গে শ্রেণিকক্ষে শাহানা কার্টুন ব্যবহারের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নারীকে দুর্বল ভাবা হয়। কিন্তু কাউকে দুর্বল ভেবে অত্যাচার করা আইনবিরোধী। এই শাহানা কার্টুনের মাধ্যমে আমরা দেখেছি, শাহানা মেয়েটি কীভাবে প্রতিবাদ করে। তিনি সেখানকার শিক্ষার্থীদেরও যেখানেই অপরাধ দেখবে সেখানেই প্রতিবাদ করার জন্য উৎসাহ দেন।
দীপু মনি বলেন, শাহানা কার্টুন চরিত্রটি বয়ঃসন্ধিকালে যৌন হয়রানি, যৌতুক ও বাল্যবিবাহসহ অধিকার ক্ষুণ্ন হয়-এমন কাজগুলোর বিরুদ্ধে কীভাবে প্রতিবাদ করতে হয়, সে কৌশল শেখাবে। কারণ কারও অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়া শুধু একজনের পক্ষে খারাপ এমন নয়, পুরো সমাজের জন্যই সেটা ক্ষতিকর। সেজন্যই আমাদের সবার অধিকার রক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, এই শাহানা কার্টুনের গল্পে বলা আছে লজ্জার কিছু নেই। তোমরাও লজ্জা পাবে না। কারণ যে উত্ত্যক্ত করবে সে অপরাধী। তাই লজ্জা তার পাওয়া উচিত, তোমার নয়।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যৌন হয়রানিমূলক যা ঘটবে তোমাদের সঙ্গে, সবার আগে পরিবারকে জানাবে। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। তোমরা অনেক মাধ্যমে সবাইকে তোমাদের সমস্যার কথা জানাতে পারবে।
আমরা শাহানা কার্টুনের এই কথাগুলো সারাদেশের সব কিশোর-কিশোরীর কাছে পৌঁছে দিতে চাই উল্লেখ করে ডা. দীপু মনি বলেন, এর মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সুন্দর এবং স্বাভাবিক একটি সম্পর্ক তৈরি হবে। আমরা মাদরাসায়ও এরকম একটি উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি। আশা করা যায়, তখন কেউ কারও অধিকার ক্ষুণ্ন করবে না।
বাংলাদেশের জন্য ২০১৫ সালে নির্মিত ‘শাহানা ইন্সপাইরিং চেঞ্জ’ নামের এ কার্টুনটি তৈরি করেছে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এবং বাংলাদেশের সুইজারল্যান্ড দূতাবাস। ওই কার্টুন এবার ক্লাসে প্রদর্শন করা হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরেরর তৈরি করা পাঠ-পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নির্বাচিত এপিসোডগুলো ৬ষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাসে দেখানো হবে।
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, এটুআই ও ইউএনএফপিএর কর্মকর্তারা এবং বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।