শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

প্রকাশিত: ৩:০৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২
ফাইল ছবি

ধলাই ডেস্ক: দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

মঙ্গলবার সকালে ২০২৩ সাল থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন কারিকুলামের ( জাতীয় শিক্ষাক্রম) পাইলটিং কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) মিলনায়তন থেকে ভার্চুয়ালি দেশের ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করে পাইলটিং কর্মসূচির উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী।

এ উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু হলো নতুন কারিকুলামের আওতায় ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন পাঠ্যবইয়ে পাঠদানের পাইলটিং কার্যক্রম।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সচেতন থাকতে হবে। করোনার কারণে আমরা আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না।

তিনি আরো বলেন, নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই শিখবে। যতটা সম্ভব ভালোভাবেই তারা শিখবে। নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা দক্ষ, যোগ্য, মানবিক বোধ সম্পন্ন হয়ে ওঠবে। আমরা চাই, যতগুলো জাতীয় লক্ষ্য আছে তা অর্জন করা, শান্তিপূর্ণ সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়া। শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সবার প্রতি আমার আহ্বান-পাইলটিংয়ের সময় কোথায় কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা যেন আমাদের জানানো হয়। আমরা যেন সবচেয়ে ভালো কারিকুলাম প্রণয়ন করতে পারি।

অনুষ্ঠানে কারিকুলাম বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট সকলকে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, কারিকুলামের সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত এবং সর্বাধুনিক করতে শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকদের সর্বোচ্চ মনোযোগ চাই। দক্ষতা ও মান অর্জনে আপনাদের সর্বোচ্চ কাজ করতে হবে।

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, পাইলটিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষকরাই জানবেন কারিকুলামের কোথায় কোথায় দুর্বলতা রয়েছে। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা এক নয় এবং সকল শিক্ষার্থীদের সক্ষমতাও এক নয়। এ বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীকসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান।