ধলাই ডেস্ক: ঈদ উপলক্ষে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বেড়েছে মানুষের ভিড়। করোনা সংক্রমণ রোধের নির্দেশনা উপেক্ষা করেই সবাই ছুটছে গ্রামে। লঞ্চ-ফেরি বন্ধ থাকায় চাপ পড়েছে ফেরিতে।
শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকেই ফেরিতে চাপ বেড়েছে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ির। সবাই গাদাগাদি করে ফেরিতে ওঠার চেষ্টা করছে। এতে পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারে হিমশিম খাচ্ছে বিআইডব্লিউটিসি। ১৩টি ফেরি দিয়েও কমানো যাচ্ছে না চাপ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার ভোর থেকেই শিমুলিয়া ঘাটে চাপ বাড়তে শুরু করে দক্ষিণাঞ্চলগামী মানুষের। যাত্রীর ভিড়ে ফেরিতে গাড়িই তোলা যায়নি।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ হিলাল উদ্দিন জানান, শুক্রবার ভোর থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শুধুমাত্র যাত্রী পারাপার করা হয়েছে। পরবর্তীতে চাপ কিছুটা কমলে যানবাহন পারাপার করা হয়। দুপুর ১টার দিকে ঘাটে সাত শতাধিক যানবাহন পারাপারের জন্য সিরিয়াল দেয়। বিকেলে সেই সিরিয়ালে যুক্ত হয় আরো তিন শতাধিক ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী গাড়ি।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় পুরো চাপ পড়ছে ফেরিতে। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ একসঙ্গে সামলাতে বেগ পেতে হয়েছে। রো-রো ফেরিসহ ১৩টি ফেরি দিয়ে নির্বিঘ্নে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের চেষ্টা চলছে।