লাইফস্টাইল ডেস্ক: শীতের শুরুতেই বিভিন্ন জায়গায় চলছে শৈত্যপ্রবাহও। এমন ঠান্ডা আবহাওয়ার সময় কমবেশি সবাই ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে ভয় পান!
আসলে শীতে বেশিরভাগ মানুষই সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগেন, এ কারণে ঠান্ডা পানি সবাই এড়িয়ে যাওয়াটাই ভালো মনে করেন।
তবে গরম পানি দেখলে এ সময় সবাই স্বস্তি পান। বেশিরভাগ মানুষই শীতে গরম পানিতে গোসল সারেন। আবার অনেকে দুদিন কিংবা চারদিনও গোসল না করেই পার করে দেন।
বিষয়টি নিয়ে কখনও ভেবে দেখেছেন, দিনের পর দিন গোসল না করলে কী হয়? চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত গোসল করলে শরীর পরিষ্কার থাকে, এমনকি শরীরে জমে থাকা বিভিন্ন জীবাণু ও ময়লাও সহজে পরিষ্কার হয়ে যায়।
তবে শীতে দৈনিক গোসল না করলেও স্বাস্থ্যের ততটা ক্ষতি হয় না। আমেরিকার চর্মরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন গোসল না করলেও চলে, যদি আপনার শরীরে ময়লা না জমে।
আসলে গোসল নিয়ে বিশ্বের সব স্থানেই আছে সামাজিক ছুতমার্গ। নিয়মিত গোসল না করার কথা শুনলে অনেকেই মনে করেন, অন্য ব্যক্তি নোংরা। এটি একটি ভুল ধারণা।
শীতে গরম পানিতে বেশিক্ষণ গোসল করলে ত্বক আরো শুষ্ক হয়ে যায়, এমনটিই মত বিশেষজ্ঞদের। এ সময় অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসলের ফলে অনেকেই চর্মরোগে ভোগেন।
বিশেষ করে অ্যাজমা, সোরিয়াসিস, দাদ’সহ বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ বেড়ে যায় শুধু গরম পানিতে গোসলের কারণে। এসব চর্মরোগের স্থান গরম পানিতে আসলে আরো শুষ্ক হয় ও ক্ষত বাড়ে।
ঠান্ডা পানিতে নিয়মিত গোসল করার উপকারিতা
যদিও ঠান্ডা পানিতে গোসলের কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও আছে। নেদারল্যান্ডসের ৩০০০ অংশগ্রহণকারীর উপর করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ঠান্ডা পানিতে গোসল করেন তাদের অসুস্থতার কারণে কাজ থেকে ছুটি নেওয়ার সম্ভাবনা ২৯ শতাংশ কম ছিল অন্যদের তুলনায়।
অন্যান্য গবেষণায় জানা গেছে, ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। এছাড়া শরীরের প্রদাহও কমে। অনেক চিকিৎসকদের মতে, ঠান্ডা পানির ঝরনা দীর্ঘায়ু বাড়ায়। এমনকি বিপাকক্রিয়াও উন্নত করে।