বিনোদন ডেস্ক: ক্যালেন্ডার বলছে, তার বয়স এবার বাষট্টি বছর। স্বাভাবিকভাবে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য এটা বার্ধক্যকাল। কিন্তু বয়সকে টপকেও কেউ কেউ থেকে যান চিরসবুজ, চির লাবণ্যময়ী। তেমনই একজন সুবর্ণা মুস্তাফা। যিনি বাষট্টিতে এসেও অনন্যা।
রুচিশীল অভিনয় আর মিষ্টি হাসিতে কয়েক প্রজন্মের ভালোবাসা অর্জন করা অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। এই প্রজন্মের অনেক অভিনেত্রীও তাকে আদর্শ মানেন। জনপ্রিয় এই তারকার জন্মদিন আজ।
জন্ম যেহেতু সাংস্কৃতিক পরিবারে, সুতরাং ছোটবেলা থেকেই এই জগতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুবর্ণা মুস্তাফার। মঞ্চে অভিনয় দিয়েই শুরু হয়েছিল তার ক্যারিয়ার। এরপর টিভিতে আসেন আশির দশকে।
তবে সুবর্ণা মুস্তাফার জনপ্রিয়তার শুরুটা ১৯৯০ সালে। নন্দিত লেখক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে বরকত উল্লাহ পরিচালিত ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটক দিয়ে আলোচনায় আসেন সুবর্ণা। এরপর অভিনয় করেছেন ‘আজ রবিবার’-এর মতো কালজয়ী ধারাবাহিক নাটকে।
সিনেমায় সুবর্ণা মুস্তাফার অভিষেক একেবারে যুবতী বয়সে। ১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী পরিচালিত ‘ঘুড্ডি’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এরপর তিনি একে একে ‘লাল সবুজের পালা’, ‘নতুন বউ’, ‘নয়নের আলো’, ‘সুরুজ মিয়া’, ‘একা একা’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘কমান্ডার’ ‘পালাবি কোথায়’, ‘ফাঁসি’, ‘আঁখি ও তার বন্ধুরা’ ‘গহীন বালুচর’সহ অনেকগুলো সিনেমায় কাজ করেন।
এর মধ্যে ‘নতুন বউ’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পার্শ্ব চরিত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন সুবর্ণা মুস্তাফা। তবে সেই পুরস্কারটি গ্রহণ করেননি তিনি। কারণ ওই সিনেমায় তিনি ছিলেন নাম ভূমিকায়।
২০১৯ সালে তার হাতে অবশেষে উঠে আসে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের স্বর্ণমূর্তি। ‘গহীন বালুচর’ সিনেমায় অসাধারণ অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্রের অভিনেত্রী হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন। একই বছর বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকেও ভুষিত করে।
ব্যক্তিগত জীবনে সুবর্ণা মুস্তাফা প্রথম বিয়ে করেছিলেন বরেণ্য অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদিকে। তবে দীর্ঘ ২২ বছর সংসার করে ২০০৮ সালে এসে আলাদা হয়ে যান তারা। এরপর নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদকে বিয়ে করেন সুবর্ণা।