ধলাই ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলে থাকা অবস্থায় ২০০২ সালে সাতক্ষীরায় তার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আরিফুর রহমান রঞ্জুকে (৪২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে হাজারীবাগ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হাফিজ আক্তার। তিনি বলেন, আরিফুর কলারোয়া সরকারি কলেজে ছাত্রদলের নেতা ছিল। সে দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
২০০২ সালের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামের এক বীর মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে দেখতে যান। সড়কপথে যশোরে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
সে সময় হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা করা হয়। ঘটনার ১৯ বছর পর গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার একটি আদালত ৫০ জনকে নানা মেয়াদে সাজা দেয়।
সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি দুজন হলেন- মো. আরিফুর রহমান ওরফে রঞ্জু ও রিপন। রঞ্জু গ্রেফতার হওয়ায় বর্তমানে একজন পলাতক রয়েছেন।
পলাতক আসামি যুবদল নেতা আব্দুল কাদের বাচ্চুকে দেওয়া হয়েছে ৯ বছরের কারাদণ্ড। বাকি ৪৬ জন আসামিকে চার বছরের কারাদণ্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
সেদিন ৩৪ আসামির উপস্থিতিতে রায় দেওয়া হয়। তাদের সেদিনই কারাগারে পাঠানো হয়। বাকি ১৬ জনের মধ্যে আছেন- আব্দুল কাদের বাচ্চু, মফিজুল ইসলাম, মো. আলাউদ্দিন, খালেদ মঞ্জুর রোমেল, ইয়াছিন আলী, রবিউল ইসলাম, মাজাহারুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, আব্দুর রব, সঞ্জু মিয়া, নাজমুল হোসেন, জাবিদ রায়হান লাকী, কনক, মাহাফুজুর রহমান।
এক ধারার সাজা শেষ হওয়ার পর অন্য ধারার সাজা শুরু হবে। তাতে সব মিলিয়ে তাদের ১০ বছর সাজা খাটতে হবে।