ধলাই ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠন করা হবে। নতুন কমিটিতে একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউই অনিবার্য নয়। শেখ হাসিনাই একমাত্র ব্যক্তি যাকে সভাপতির পদে থাকতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থল পরিদর্শন করার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন তা জানতে দলের নেতাকর্মীদের ২১ তারিখ (২১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আমি দলের সাধারণ সম্পাদক থাকবো কি না, তা জানেন আল্লাহ এবং আমাদের দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তী সাধারণ সম্পাদকের জন্য সবাইকে ২১ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষার করতে হবে। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নে উপযোগী শক্তি হিসেবে যারা কাজ করবে, যারা যোগ্য। তারাই নেতৃত্বে আসবে। তাদের নেতৃত্বে নতুন করে আওয়ামী লীগকে গড়ে তোলা সম্মেলনের মূল লক্ষ্য।
দল ও সরকার আলাদা করা হবে কি না জানতে চাইলে কাদের বলেন, দল ও সরকার গুলিয়ে ফেলার কোনো বিষয় নেই। দলের কাজ পরিচালনা করেন দলের নেতারা আর সরকারের মধ্যে যারা আছেন তারা তাদের কাজ করেন। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির হুমকি মোকাবিলার উপযোগী করে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে হবে আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি। আর বর্তমান কমিটির সফলতা ও ব্যর্থতার মূল্যায়ন করবেন নেতাকর্মীরা ও জনগণ।
সম্মেলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সম্মেলনের দিন আমাদের নেতাকর্মীরা যার যার দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবেন। শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে বোঝা যাবে শৃঙ্খলার সঙ্গে কতটা সংযুক্ত আমরা। সম্মেলনের যেসব উপকমিটি আছে যার যার দায়িত্ব পালন করবেন। সম্মেলনকে সফল করার জন্য শৃঙ্খলা উপকমিটির বিশাল দায়িত্ব। কেউ কারও চেয়ার বসলে তাকে বলে দিতে হবে যেকোনো মূল্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। এবার সম্মেলন উপস্থিতির দিক থেকে স্মরণকালের বৃহত্তর সভা হবে। এদিক থেকে কোনো সন্দেহ নেই।