ধলাই ডেস্ক: কুমিল্লায় প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণ মামলা দায়েরের দুইদিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ। সালিশের নামে অর্থের প্রলোভনে নির্যাতিত তরুণীর বাবা থেকে প্রভাবশালীদের নেয়া স্বাক্ষরযুক্ত খালি স্ট্যাম্পটি উদ্ধার হয়নি।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। নির্যাতিত তরুণী আট মাসের অন্তসত্ত্বা বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
জানা গেছে, জেলার বরুড়া উপজেলা দক্ষিণ শীলমুড়ি ইউনিয়নের লগ্নসার গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে ইমান হোসেন (৩০) প্রতিবন্ধী তরুণীকে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
গত শনিবার ইমান হোসেন একই কাজে লিপ্ত হলে নির্যাতিতার বাবা বিষয়টি টের পেলে পালিয়ে যান। ঘটনাটি মিটমাটের জন্য এবং ধর্ষককে বাঁচাতে ওই এলাকার খলিলুর রহমান মুন্সি, নয়ন, আবু তাহের, লিটন বড়ুয়া ও রতনসহ কয়েকজন নির্যাতিতার বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসান।
সালিশে ৪০ হাজার টাকা দেবে বলে খলিলুর রহমান নির্যাতিতার বাবা থেকে ৩০০ টাকার খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। কিন্তু টাকা না দিয়ে তারা স্ট্যাম্প নিয়ে চলে যান।
বরুড়া থানা পুলিশের এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার বলেন, ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা বুধবার সম্পন্ন হয়েছে। ভিকটিম ৩১ সপ্তাহের অন্তসত্ত্বা (প্রায় আট মাস) বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবন্ধী স্কুলশিক্ষকের মাধ্যমে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান ঊর্মীর আদালতে ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।
সূত্র: জাগো নিউজ…