ধলাই ডেস্ক: ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, সিলেটের জননন্দিত নেতা, জনতার কামরান হিসেবে পরিচিত বদর উদ্দিন আহমদ কামরান আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন ।
চিকিৎসকদের সকল প্রচেষ্টাকে পেছনে ফেলে আজ সোমবার (১৫ জুন) ভোররাত ৩ টার দিকে সিএমএইচে তিনি মুত্যুর কোলে ডলে পড়েন। ঢাকায় পিতার সাথে থাকা কামরানের পুত্র ডা. আরমান আহমদ শিপলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকায় তাকে প্লাজমা থেরাপি দেয়ার পর তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হচ্ছিল। রোববারও তারঁ শারীরিক অবস্হা স্হিতিশীল ছিল। তাই আকস্মিকভাবে ভোররাতে সোস্যাল মিডিয়ায় মৃত্যু সংবাদ দেখে প্রথমে অনেকেরই বিশ্বাস হচ্ছিল না। মেয়র কামরানের মৃত্যু সংবাদ মূহুর্তের মধ্যে দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়লে সব জায়গায় মানুষের শোক নেমে এসেছে।
কামরানের এপিএস বদরুল ইসলাম বলেন, প্লাজমা থেরাপি দেওয়ার পর স্যার অনেকটা সুস্থবোধ করছিলেন। রোববার মধ্যরাত থেকে হঠাৎ তার অবস্থার অবনতি হয়। তিনি বুকে ব্যাথা অনুভব করছিলেন। এরপর ভোরের দিকে তিনি মারা যান।
উল্লেখ্য,গত ৫ জুন সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে কামরানের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। ওইদিন রাত থেকে প্রথমে বাসায় আইসোলেশনে রাখা হলেও ৬ জুন সকালে বমি আর জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে বমি ও জ্বর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।
অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়াতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রবিবার (০৭ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয় সাবেক মেয়র কামরানকে। সেখানে বারঁ উন্নত চিকিৎসা চলছিল।
এর আগে, গত ২৭ মে কামরানের স্ত্রী আসমা কামরানেরও করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তিনি বর্তমানে নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রথম দুবারের মেয়র কামরান তৎকালীন সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন। একইভাবে তিনি দীর্ঘদিন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মহানগরের সর্বশেষ সম্মেলন পর্যন্ত তিনি সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
