সুচিত্রা সেনের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ৪:০৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২২

বিনোদন ডেস্ক: বাংলা ছবির মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের আজ সোমবার (১৭ জানুয়ারি) অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি চলে গেছেন দেখতে দেখতে আট বছর পেরিয়ে গেল! ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী। তার অমর আত্মার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

বিয়ের পরে ১৯৫২ সালে ‘শেষ কথায়’ রূপালি পর্দায় নায়িকার ভূমিকায় প্রথম আত্মপ্রকাশ তার। পাবনার রমার নাম বদলে হয় সুচিত্রা। আর তার পরেরটা শুধুই ইতিহাস। কেবলই কিংবদন্তির পথে এগিয়ে চলা। তার হাত ধরেই বদলে যায় বাংলা চলচ্চিত্রের নায়িকার সংজ্ঞা।

‘সাত নম্বর কয়েদী’ ছবিতে অভিনয় করার পর সুচিত্রা সেন পিনাকী মুখার্জি পরিচালিত ‘সংকেত’ ছবিতে অভিনয় করেন। তখনও তিনি ‘সুচিত্রা সেন’ নাম ধারণ করেননি। সে নাম আসে এর পরের ছবি অর্থাৎ নীরেন লাহিড়ীর ‘কাজরী’ ছবির মাধ্যমে ১৯৫২ সালে।

সুচিত্রা সিনেমা করতে এসে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হন উত্তম কুমারের জুটি হিসেবে। উত্তম-সুচিত্রা শব্দটি ছিল তখনকার চলচ্চিত্রের আশীর্বাদ। কখনো প্রেম যুগল, কখনো দাম্পত্য জীবনের গল্পে তারা হয়ে উঠেছিলেন অনবদ্য। আলাদা সংসার থাকলেও এই দুজনের প্রেম নিয়ে অনেক মুখরোচক কথাই ছড়ানো আছে টালিগঞ্জের ইতিহাসে।

এই বাঙালি নায়িকার হঠাৎ নীরবতা সম্পর্কে বলা হয়, উত্তম কুমারের মৃত্যুর পরই প্রিয় মানুষটিকে হারানোর অভিমানে চলচ্চিত্র ত্যাগ করেন তিনি। জানা যায়, তার নায়ক উত্তম কুমার ১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই মারা গেলে সেই রাতে এসেছিলেন একখানি মালা হাতে নিয়ে। মহানায়কের দেহের ওপর মালা রেখে সুচিত্রা সেন ফিরে এলেন কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের বাড়িতে, তারপর তিনি মিডিয়ার সঙ্গে আর কথা বললেন না। একাকী নিঃসঙ্গ জীবন কাটাতে লাগলেন।

এমনকি ২০০৫ সালে দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার নিতেও যাননি তিনি। ২০১২ সালে বঙ্গ বিভূষণ পুরস্কার পান। তার হয়ে মেয়ে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের একটি আসনের সাংসদ ও টালিগঞ্জের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মুনমুন সেন এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।

সুচিত্রা ছিলেন এক মেয়ের জননী। সেই কন্যা মুনমুনও একজন গুণী অভিনেত্রী। সুচিত্রার দুই নাতনি রিয়া ও রাইমা সেনও নানির মতোই অভিনয়কেই ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন।