ডেস্ক রিপোর্ট: টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ আট উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ১৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পানি ঢুকায় পাঠদান বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি উপজেলার ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসায় বন্যার পানি ঢুকেছে। এছাড়া শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের সড়ক ডুবায় শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না অভিভাবকরা। এভাবে বৃষ্টিপাত হলে জেলার অধিকাংশ উপজেলার প্রাথমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদারাসা ও কলেজে বন্যায় কবলিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
তাহিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাদিউজ্জামান জানান, পানি বাড়ার কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলে একবারেই কম আসে। এদিকে যেসব এলাকার বিদ্যালয়গুলো উঁচু স্থানে রয়েছে, সেগুলোকে বন্যার আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জিল্লুর রহমান বলেন, পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে জেলার সদর উপজেলায় ২২টি, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় ৩টি, ধর্মপাশা উপজেলায় ৫৯টি, তাহিরপুর উপজেলায় ১৯টি, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ২৭টি, দোয়াবাজার উপজেলায় ১৮টি, ছাতক উপজেলায় ১০টি এবং জামালগঞ্জ উপজেলায় ৩০টি বিদ্যালয়ে পানি ঢুকেছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বন্যার পানি সরে না যাওয়া পর্যন্ত পাঠদান স্থগিত রাখা হবে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জেলার ছয়টি উপজেলার অন্তত ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসায় বন্যার পানি ঢুকেছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৯টি, বিশ্বমম্ভরপুর উপজেলায় ১৭টি, জামালগঞ্জ উপজেলায় চারটি, ধর্মপাশা উপজেলায় দুটি, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১০টি এবং তাহিরপুর উপজেলায় আটটি বিদ্যালয়ে পানি ঢুকেছে। এ সবকটি প্রতিষ্ঠানে পাঠদান স্থগিত রাখা হয়েছে। এছাড়াও অব্যাহত বৃষ্টিপাত ও অনেক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ ও রাস্তাঘাট ডুবায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আসতে পারছে না ।