ধলাই ডেস্ক: ১৮ বছরের সংসারে তিন ছেলেসন্তানের জনক হওয়ার পর পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে বন্ধুর স্ত্রী দুই সন্তানের জননীকে নিয়ে উধাও হয়েছেন কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ফারুকুজ্জামান মালিথা।
ইতোমধ্যে পুলিশের হাতে দুই সন্তানের জননী প্রেমিকা আটক হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন প্রেমিক ফারুকুজ্জামান। তার কোনো খোঁজ মিলছে না।
এ অবস্থায় দুটি পরিবারকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষাসহ তাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে উভয় পরিবারের স্বজন ও এলাকাবাসী এগিয়ে এসেছেন।
রোববার দুপুরে ফারুকুজ্জামানের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী মনোয়ারা সুলতানা মনিরা উভয় পরিবারের স্বজন এবং এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে পাবনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে মনোয়ারা সুলতানা মনিরা বলেন, ২০০১ সালে পাবনা সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের চরকোশাখালী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ফারুকুজ্জামান মালিথার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। আমাদের তিন ছেলেসন্তান রয়েছে। এরপরও যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো স্বামী।
মনোয়ারা সুলতানা মনিরা বলেন, এরই মধ্যে আমার স্বামী তার স্কুলশিক্ষক বন্ধু ফরিদের স্ত্রী দুই ছেলেসন্তানের জননী নার্গিস পারভীনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। নানাভাবে এই পথ থেকে ফিরে আসার জন্য স্বামীকে অনুরোধ করলেও কাজ হয়নি। উল্টো অনুরোধ উপেক্ষা করে আমাকে ঘর থেকে বের করে দেন। সেই সঙ্গে আমাকে তালাক দিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিজের বন্ধু ফরিদের স্ত্রী নার্গিস পারভীনকে নিয়ে উধাও হয়ে যান ফারুকুজ্জামান।
মনিরা বলেন, নার্গিস পারভীনও স্বামী ফরিদকে পালিয়ে যাওয়ার তিন মাস আগে তালাক দেন। কিন্তু বিষয়টি গোপন রেখে ফরিদের সঙ্গে সংসার করেছেন পারভীন। সুযোগ বুঝে বৃহস্পতিবার দুজন পালিয়ে যান। নার্গিসের ঘরেও রয়েছে দুটি সন্তান।
সংবাদ সম্মেলনে নার্গিস পারভীন এবং মনোয়ারা সুলতানা মনিরার স্বজনরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় দুটি পরিবারের সন্তানদের রক্ষার দাবি জানান তারা।
নার্গিসের বোন শিখা ও ভাই মাসুম জানান, সিরাগঞ্জের শাহজাদপুর থানা পুলিশ তাদের বোন নার্গিসকে আটক করেছে। তবে এখনো পলাতক রয়েছেন ফারুকুজ্জামান। তাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
মনোয়ারা সুলতানা মনিরার ভাই নাছির উদ্দিন বলেন, দুটি সংসার যাতে ধ্বংস না হয়, আমার বোন মনিরার তিন ছেলে এবং ফরিদের দুই সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু আইনি সমাধান প্রত্যাশা করছি আমরা। দুটি পরিবারের পাঁচটি সন্তান কান্না করছে। এসব সন্তানদের কান্না থামান।
সংবাদ সম্মেলনে ফারুকুজ্জামানের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী মনোয়ারা সুলতানা মনিরা, তার ভাতিজি শিউলী খাতুন, নার্গিসের বোন শিখা খাতুন ও ছোট ভাই মাসুম বিল্লাহসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।