ধলাই ডেস্ক: স্বপ্ন ভঙ্গ হলো বাংলাদেশের। তীরে এসে তরী ডুবালো টাইগাররা। ১৪৪ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ভারতের বিপক্ষে ৩০ রানে হেরে সিরিজ খোয়ালো মাহমুদউল্লাহর দল।
রোববার নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে আগে ব্যাট করে ১৭৪ রান করে ভারত। ১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে মাঠে নেমে ১৪৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
ভারতের ছুঁড়ে দেয়া ১৭৫ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশের ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈম। শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। তৃতীয় ওভারেই বলে আসেন চাহাল। নিজের চতুর্থ বলে ওয়াশিংটন সুন্দরের কাছে ক্যাচ বানান লিটনকে (৮)।
এরপরে বলেই দ্যুবের হাতে ধরা দেন সৌম্য সরকার। ০ রান করেই ফিরতে হয় এ ব্যাটসম্যানকে। এরপর দলের হাল ধরেন নাঈম। নাঈম-মিথুনের ব্যাটে দলীয় অর্ধশত টাইগারদের।
নাঈমের ব্যাটে আশা দেখে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ নাঈম তুলে নেন আন্তর্জাতিক ম্যাচে ক্যারিয়ারে প্রথম অর্ধশত। তাকে সঙ্গ দিচ্ছিল মোহাম্মদ মিথুন(২৬)। নাঈম- মিথুনেই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। তুলে নিয়েছিল শতক।
এরপর ই মিথুন খেললেন এক ভুল শর্ট। চাহারের বলে তুলে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন রাহুলের হাতে। ফেরার আগে ২৯ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ব্যাটে আসেন মুশফিক। তবে আজ দিনটি তার ছিল না। শিভাম দ্যুবের প্রথম বলেই বোল্ড হন প্রথম ম্যাচের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হওয়া মুশফিক। বাংলাদেশ নাঈমের ব্যাটেই জয়ের আশা দেখছিল।
ভালো ও খেলছিল নাঈম। ৪৮ রানের ৮১ রানের ইনিংস খেললো এ ব্যাটসম্যান। দ্যুবের বোল্ড হলে নাঈম। ক্যারিয়ারের সব থেকে বেশি রান করে ঘরে ফিরলেন এই ওপেনার। এরপর আসলেন আফিফ। তবে সে ও পয়ারলেন না আলো ছড়াতে। প্রথম বলেই দ্যুবের হাতে ক্যাচ তুলে দিলেন। ফিরলেন শূন্য রানে। ম্যাচ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বাংলাদেশের।
চাপ নিতে পারলেন না অধিনায়ক। চাহালের বলেই বোল্ড হোলেন মাহমুদউল্লাহ(৮)। সে চাহালেই ফিরলেন শফিউল(৪)। ফের চাহারে ফেরেন মুস্তাফিজ। ৪ বল হাতে রেখে সব উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
বাংলাদেশের মোহাম্মদ নাঈম ৮১ ও মোহাম্মদ মিথুন ২৭ রানের ইনিংস খেলেন।
ভারতের দিপক চাহার একাই ৬ উইকেট নেন।
শুরুতেই ভারতের হয়ে ব্যাটে আসেন অধিনায়াক রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শফিউলের বলে বোল্ড হয়ে ঘরে ফেরেন রোহিত। ধাওয়ানকে সঙ্গ দিতে ব্যাটে আসেন লোকেশ রাহুল। তবে আজ দিনটি শফিউলের। শফিউলের বলে ক্যাচ তুলে দেন ধাওয়ান(১৯)। বলটি লুফে নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
দলের দায়িত্ব পড়ে লোকেশ রাহুলের কাঁধে। তাকে সাপোর্ট দিতে থাকে শ্রেয়াস আইয়ার। রাহুল তুলে নেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ অর্ধশত। এ ম্যাচে লোকেশ রাহুল ও শ্রেয়াসের ব্যাটে চাপ কাটিয়ে উঠে ভারত। তবে আর বেশিদূর এগোতে পারেনা এ জুটি।
আল আমিন হোসেন এসেই লিটন দাসের কাছে ক্যাচ বানিয়ে ফেরালেন রাহুলকে। ছুটতে থাকা ভারতের বাঁধ সাধে সৌম্য সরকার। বোল্ড করে থামান রিশাভ পান্টকে(৬)। ফের ফেরালেন জ্বলে ওঠা শ্রেয়াসকে। লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলেও দিয়ে ফিরলেন শ্রেয়াস (৬২)।
এরপর আর উইকেটের দেখায় পায়নি বাংলাদেশের বোলাররা। মানিষ পান্ডে(২২*) ও শিভম দ্যুবের (৯*) ব্যাটে ১৭৪ রানে থামে ভারতের ইনিংস।
শ্রেয়াস আইয়ার ৬২, লোকেশ রাহুল ৫২ মানিশ পান্ডে ২২* রানের ইনিংস খেলেন।
বাংলাদেশের হয়ে শফিউল ইসলাম ও সৌম্য সরকার ২ টি করে উইকেট নেন।
দিল্লিতে ভারতকে সাত উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের শুভসূচনা করে বাংলাদেশ। কিন্তু রাজকোটে আট উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে যায় মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকরা। আর সিরিজের শেষ ম্যাচে হেরে সিরিজ খুয়ালো বাংলাদেশ।