ধলাই ডেস্ক: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় স্বামীর বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। এ সময় স্বামী তিনদিনের জন্য সোনাইমুড়ীর শানারবাঘ জামে মসজিদে তাবলিগে ছিলেন।
শনিবার র্যাব-১১ এর সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নে প্রেমিকের বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকারসহ অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাব-১১ সূত্রে জানা গেছে, সোনাইমুড়ী উপজেলার বাসিন্দা ভুক্তভোগী হুমায়ুন কবির (৩৩) ইতালি প্রবাসী। ইতালি থাকাকালে তার স্ত্রী ফারুক হোসেন (৩০) নামে এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হন। হুমায়ুনের বাবা-মা বিষয়টি জানতে পেরে তাকে জানান। পরে পাঁচ মাস আগে ইতালি থেকে দেশে চলে আসেন হুমায়ুন। দেশে আসার পর তিনি লক্ষ্য করেন তার স্ত্রী মোবাইলে এবং ফেসবুকে তার অগোচরে পরকীয়া চালিয়ে যাচ্ছেন।
এরপর স্ত্রীকে সংশোধনের চেষ্টা করলে স্ত্রী তাকে নারী নির্যাতনের মামলার ভয় দেখান। পরে গত ১২ জুন হুমায়ুন তিন দিনের জন্য সোনাইমুড়ীর শানারবাঘ জামে মসজিদে তাবলিগে যান। এ সুযোগে ১৪ জুন সকাল ১০টার দিকে শাশুড়িকে ওষুধ আনার কথা বলে ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১০ হাজার টাকা ও একটি স্যামসাং মোবাইল নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান স্ত্রী।
এদিকে এ ঘটনায় গত ১৫ জুন ভুক্তভোগী হুমায়ুন কবির র্যাব-১১ এর ক্যাম্পে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নারীসহ দুজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন অর রশীদ বলেন, মামলার পর আটককৃত দুই নারীকে গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে অন্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
র্যাব-১১ এর সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় সোনাইমুড়ী থানায় ভুক্তভোগী হুমায়ুন কবির লিখিত এজাহার দাখিল করেছেন। আমরা আটককৃতদের সোনাইমুড়ী থানায় হস্তান্তর করেছি।